সারা বাংলা

হাসপাতালের সামনে ভিডিও ধারণকারীদের ‘অত্যাচারে’ সেবা ব্যাহত

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একের পর এক আসছে অ্যাম্বুলেন্স, হাসপাতাল থেকে বের হচ্ছে মরদেহ। জরুরি চিকিৎসা নিতে আসছে গুরুতর রোগীরাও। কিন্তু প্রতিটি অ্যাম্বুলেন্স হাসপাতালে প্রবেশ করতেই সেগুলো ঘিরে ছবি তোলা ও ভিডিও করতে ব্যস্ত অতিউৎসাহী কিছু মানুষ। তাদের উৎপাতে স্বাভাবিক দায়িত্বপালন ব্যাহত হচ্ছে স্বেচ্ছাসেবক, স্বাস্থ্যকর্মী ও সংবাদকর্মীদের।

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের ৯ জন রয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার আপডেট দেওয়া হালনাগাদ বোর্ডে এই তথ্য জানায় সীতাকুণ্ড উপজেলা প্রশাসন।

রোববার (৫ জুন) বিকেলে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স প্রবেশ করলেই মোবাইল হাতে নিয়ে সেগুলো ঘিরে ধরছে কিছু সংখ্যক মানুষ। স্বাস্থ্যকর্মীরা অ্যাম্বুলেন্স থেকে আহত রোগী কিংবা লাশ উঠা-নামা করতে বিড়ম্বনায় পড়ছেন তাদের কারণে।

হাসপাতাল গেটে দায়িত্ব পালন করা গাউসিয়া কমিটির স্বেচ্ছাসেবক আলমগীর রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘মোবাইল ব্যবহারকারীদের ভিডিও ধারণের অত্যাচারে আমরা ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করতে পারছি না। তারা অ্যাম্বুলেন্স ঘিরে ধরে সেবা কার্যক্রমে বিঘ্ন সৃষ্টি করছে। তাদের কারণে সাংবাদিকরাও দায়িত্ব পালন করতে পারছে না।’  

জরুরি বিভাগের সামনে দায়িত্ব পালনরত এনটিভি’র সিনিয়র ক্যামেরাপারসন এনামুল হক জানান, মোবাইল ভিডিও গ্রাফারদের কারণে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করা যাচ্ছে না। তারা লাশে বীভৎসতা না বুঝে সব পরিস্থিতির ভিডিও ধারণে প্রতিযোগিতা করছে। তারা সাংবাদিকদের কাছেও যেতে দিচ্ছে না। 

ঘটনাস্থলে দায়িত্বরত পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকরা এ সব মোবাইল ব্যবহারকারীদের বার বার সরিয়ে দিলেও পরক্ষণেই আবারও ঘটনাস্থলে ভিড় করছে।