জাতীয়

সীতাকুণ্ডের ঘটনায় আইএলও’র শোক, ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে আগুনে নিহত ও আহতদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)।

সোমবার (৬ জুন) ঢাকার আইএলও অফিস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে সমবেদনার পাশাপাশি বাংলাদেশে নিরাপদ কাজের পরিবেশ উন্নত করার বিষয়ে জোর দেওয়া হয়।

সংস্থাটির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই ঘটনাটি রাসায়নিকের সঠিক পরিচালনা, সঞ্চয়স্থান, সচেতনতা এবং অপারেশনাল স্তরে স্টোরেজ সুবিধাসহ কর্মীদের জন্য যথাযথ প্রশিক্ষণ এবং জরুরি ঘটনার সময় কার্যকর ভিড় নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করার ওপর জোর দিচ্ছে।

ঘটনাটি একটি কার্যকর শিল্প, এন্টারপ্রাইজ নিরাপত্তা কাঠামো এবং প্রয়োগ ও প্রশিক্ষণ ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেয়। যাতে সব বিপদের প্রশমন, প্রস্তুতি, প্রতিক্রিয়া এবং পুনরুদ্ধারের জন্য একটি কাঠামোগত পদ্ধতি নিশ্চিত করা যায়। এজন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ, নিয়োগকর্তা এবং শ্রমিক প্রতিনিধি এবং সুশীল সমাজের মধ্যে উন্নত সহযোগিতা এবং অংশীদারিত্বের প্রয়োজন।

আইএলও বলছে, এ সমস্যা মোকাবিলা করার জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। এর মধ্যে রয়েছে পরিবহন ও লজিস্টিক সেক্টরের সঠিক প্রয়োগ পর্যালোচনা, আহত ও অক্ষম শ্রমিকদের এবং কর্ম সংক্রান্ত দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো শ্রমিকদের পরিবারকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ এবং আয় সহায়তা দেওয়া। লজিস্টিক পরিষেবা দানকারীর পাশাপাশি জরুরি সেবা কর্মীদের সহায়তা করা।  

সংস্থাটি জানায়, সম্প্রতি সরকার, নিয়োগকর্তা এবং শ্রমিক প্রতিনিধিরা তৈরি পোশাক খাত থেকে শুরু করে অন্যান্য সেক্টরে সম্প্রসারণের সম্ভাবনাসহ বাংলাদেশে একটি আধুনিক ও কর্মসংস্থান ইনজুরি স্কিম (EIS) চালু করতে সম্মত হয়েছে। এই ধরনের ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে দুর্ঘটনা প্রতিরোধ, অবিলম্বে এবং দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতিপূরণ এবং কাজে ফিরে যাওয়ার জন্য পুনর্বাসন।

২০১৩ সালের রানা প্লাজার প্রসঙ্গ টেনে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির পর থেকে তৈরি পোশাক শিল্প থেকে শিক্ষার প্রসার ঘটিয়ে সব শিল্পে কাজের অবস্থার উন্নতি করতে আইএলও বাংলাদেশ সরকার, নিয়োগকর্তা এবং শ্রমিক সংগঠন এবং উন্নয়ন অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে চলেছে।

সংস্থাটি আশা প্রকাশ করছে যে, এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে সারাদেশে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তার ঘাটতি মেটাতে নতুন শক্তি প্রয়োগ করবে এবং সবার জন্য নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য আমাদের সহায়তা অব্যাহত রাখব।