বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত। আজ (১৪ জুন) এই অভিনেতার দ্বিতীয় প্রয়াণ দিবস। ২০২০ সালের এই দিনে নিজ বাসা থেকে এই অভিনেতার লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে এই অভিনেতার মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করা হলেও এ নিয়ে মামলা চলছে।
বর্তমানে মামলার তদন্ত করছে ভারতের সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই)। কিন্তু এটি নিয়ে এখনো রহস্য কাটেনি। এই অভিনেতা আত্মহত্যা করেছেন নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছিল সিবিআই এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি। যদিও অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সের একটি বোর্ড ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিল যে অভিনেতার মৃত্যু আত্মহত্যা।
সুশান্তের মৃত্যুর পর প্রথমে মামলার দায়িত্ব নেয় মুম্বাই পুলিশ। এরপর এর সঙ্গে যুক্ত হয় বিহার পুলিশ। পরে ২০২০ সালের আগস্টে সিবিআই তদন্তের দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। এরপর ২২ মাস একাধিক সাক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ, সুশান্তের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বিশ্লেষণ, তার মানসিক অবস্থার মূল্যায়নসহ নানা দিক তদন্ত করছে। তবে এখনো শেষ সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিবিআই কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যম জানায়, তদন্তকারী দল সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সব প্রমাণ সাবধানতার সঙ্গে দেখতে চায় বলেই এত দীর্ঘ সময়েও তদন্ত শেষ হয়নি। সিবিআই-এর দাবি, ‘তদন্তের সময় আধুনিক সফটওয়্যারসহ উন্নত মোবাইল ফরেনসিক সরঞ্জাম ডিজিটাল ডিভাইসগুলোতে উপলব্ধ প্রাসঙ্গিক ডেটা বের করা এবং বিশ্লেষণের জন্য এবং মামলা সম্পর্কিত প্রাসঙ্গিক সেল টাওয়ারের ডেটা বিশ্লেষণের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। গত ১০ মাসে যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন সুশান্তের বন্ধু, কর্মী, তার চিকিৎসক, রিয়া চক্রবর্তী এবং তার পরিবারের সদস্যরা এবং সিনেমা জগতের বেশ কয়েকজন তারকা।’
‘পবিত্র রিশতা’ টিভি ধারাবাহিকে অভিনয় করে বিশেষ পরিচিত পেয়েছিলেন। ২০১৩ সালে ‘কাই পো চে’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে তার অভিষেক হয়। এরপর ‘শুদ্ধ দেশি রোমান্স’, ‘পিকে’, ‘ডিটেকটিভ ব্যোমকেশ বক্সি’, ‘এম এস ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরি’, ‘ছিছোড়ে’ ইত্যাদি সিনেমায় অভিনয় করে ভক্তদের মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন। সিনেমার পাশাপাশি জনকল্যাণমূলক নানা কাজও করতেন সুশান্ত সিং রাজপুত। বন্যার্তদের পাশে থাকা, দুস্থ ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনায় সাহায্য, সাধারণ মেধাবীদের নাসায় পৌঁছে দেওয়ার কাজও করতেন এই অভিনেতা।