কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষে কেন্দ্রে কেন্দ্রে চলছে গণনা। ১০৫ কেন্দ্রের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৮৬ কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফলে স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক সাককু পেয়েছেন ৪০ হাজার ১৭২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত পেয়েছেন ৪০ হাজার ১০৫ ভোট। অর্থাৎ ৬৭ ভোটে এগিয়ে আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক সাককু।
এর আগে, বুধবার (১৫ জুন) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে ৪টা পর্যন্ত ইভিএমে চলে এই ভোটগ্রহণ। এবার কুসিক নির্বাচনে ৫ জন মেয়র পদপ্রার্থী, ৯টি সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী এবং ২৫টি ওয়ার্ডে ১০৮ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
কুসিকের ২৭টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার রয়েছে ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন। এদের মধ্যে, ১ লাখ ১৭ হাজার ৯২ জন নারী ভোটার এবং পুরুষ ভোটার ১ লাখ ১২ হাজার ৮২৬ জন। এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে দুজন।
এদিকে কুসিকের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ইভিএমে ভোট দিতে এসে ভোগান্তিতে পড়েন ভোটাররা। মেশিনে ভোটারদের ফিঙ্গার প্রিন্ট না মেলা, এক বুথের ভোটাররা অন্য বুথে যাওয়া; লাইন জমিয়ে ভোটে বিলম্ব সৃষ্টিসহ নানা অভিযোগ ছিল ভোটারদের।
তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে প্রিজাইডিং অফিসাররা বলেছেন, ভোট দিতে ভোটারদের কোনো অসুবিধা হয়নি। সমস্যাটা করেছেন বাইরে থেকে যারা ভোটার স্লিপ দিচ্ছেন, তারা। তারা ভোটারদের সঠিক তথ্য দেননি। এ কারণেই ভোটারদের ভোগান্তি হয়।
ইসির দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবারের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন। ভোটের মধ্যে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের (কুসিক) ভোটকে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে এ কমিশন।
আরো পড়ুন: ৭৬০ ভোটে এগিয়ে সাককু