রাজনীতি

কুসিক নির্বাচনের ফল জানা ছিল: ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফল কী হবে, সেটা আমরা আগে থেকেই জানি। এ কারণেই বলেছি, বিএনপি এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাচ্ছে না। এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়া মানেই হচ্ছে, তাদের আরও বৈধতা দেওয়া।’

বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। ১৬ জুন ‘সংবাদপত্রের কালো দিবস’ উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশ।

সংবাদপত্রের স্বাধীনতা আর রাষ্ট্রের স্বাধীনতা আলাদা করে দেখার সুযোগ নেই, মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘গণতন্ত্র এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। সংবাদপত্র এবং গণতন্ত্রের স্বাধীনতা যেহেতু একই জায়গায়, তাহলে গণতন্ত্রের স্বাধীনতা না পেলে আমরা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা কিভাবে পেতে পারি? সেজন্য এখন মূল লক্ষ্য হচ্ছে—গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনা।’

তিনি বলেন, ‘যারা বাকশাল গঠন করে গণতন্ত্র হরণ করেছিল, তাদের কাছ থেকে গণতন্ত্র আশা করা যায় না। এখন রাষ্ট্র, জাতি, সংবাদপত্র, বিচার বিভাগ, শিক্ষা ব্যবস্থা বা স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে রক্ষা করতে হলে গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করা ছাড়া কোনো বিকল্প পথ নেই।’

মির্জা ফখরুলের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, ব্যক্তি স্বাধীনতা হরণ করেছে। অন্যদিকে, বিএনপি সেই গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছে; বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা দিয়েছে। বর্তমানেও আমাদের মূল লক্ষ্য গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনা। এই গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে সব শ্রেণি ও পেশার মানুষকে জাগিয়ে তুলে গণতন্ত্রের যে আন্দোলন শুরু হয়েছে, সেই আন্দোলনকে চূড়ান্ত রূপ দিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘দেশনেত্রী খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ, হাসপাতালে। সারা দেশে বিএনপির ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হয়েছে। এতকিছুর পরও বিএনপি কিন্তু থেমে নেই। চূড়ান্ত আন্দোলনে যাওয়া এবং দেশকে মুক্ত করার বিষয়ে বিএনপির কোনো ঘাটতি নেই। বিএনপি নিঃসন্দেহে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটাবে, দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবে, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনবে। আমরা বিশ্বাস করি, এই লক্ষ্যে আমরা সফল হব। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনসহ সব কালাকানুন বাতিল করা হবে।’

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন —ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি এম আবদুল্লাহ, সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী, শওকত মাহমুদ, ইলিয়াস খান প্রমুখ।