পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য অতিথিদের কিছু দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে আমন্ত্রণপত্রে। অতিথিদের আমন্ত্রণপত্র সঙ্গে আনার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। আমন্ত্রণপত্রটি হস্তান্তরতরযোগ্য নয় বলেও জানানো হয়েছে। এছাড়া নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা আগেই সবাইকে অনুষ্ঠানস্থলে আসার জন্য বলা হয়েছে।
অনুষ্ঠান শুরুর আগে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কোভিড-১৯ পরীক্ষার রিপোর্ট সঙ্গে করে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে অতিথিদের।
চাবি, চাবির রিং, মোবাইল, ছাতা, হাতব্যাগ, ক্যামেরা, ইলেকট্রনিক্স বস্তু না নিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। অনুষ্ঠানস্থলে কোভিড-১৯ সংশ্লিষ্ট সব প্রটোকল অনুসরণ করতে বলা হয়েছে অতিথিদের।
আমন্ত্রণপত্রের সঙ্গে দেওয়া স্টিকারটি গাড়ির সামনের কাচের বাম পাশে দৃশ্যমান স্থানে লাগানোর জন্য বলা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (২৫ জুন) শনিবার বাংলাদেশের ইতিহাসের দীর্ঘতম পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করবেন। এদিন সকাল ১০টায় সেতুর মাওয়া প্রান্তে প্রথমে সুধী সমাবেশে অংশ নেবেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বিদেশি কূটনীতিকসহ দেশ বরেণ্য সুধীজনরা উপস্থিত থাকবেন। এরপর টোল দিয়ে সেতুতে উঠে সেখানে থাকা উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী । পরে তিনি গাড়িতে করে সেতু পার হয়ে জাজিরায় আরেকটি ফলক উন্মোচন করবেন। বিকেলে মাদারীপুরের শিবচরে জনসভায় অংশ নেবেন তিনি।
শনিবার সকাল ৯টায় অতিথিদের অনুষ্ঠানস্থলে আসন গ্রহণ করার জন্য আমন্ত্রণপত্রে বলা হয়েছে। সকাল ১০টায় মাওয়া প্রান্তের অনুষ্ঠানস্থলে আসবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর এক মিনিট পরই প্রদর্শিত হবে প্রামাণ্য চিত্র।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সকাল ১০টা ৫ মিনিটে সভাপতির বক্তব্য দিবেন। পদ্মা সেতু থিম সং দেখানো হবে ১০টা ১০ মিনিটে। প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল সোয়া ১০টায় বক্তব্য রাখবেন। বক্তব্য শেষে মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করবেন তিনি। পরে সেখানে মোনাজাত হবে।
প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে জাজিরা প্রান্তে গিয়ে উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করবেন। এরপর বিকেলে প্রধানমন্ত্রী কাঁঠাল বাড়ি এলাকায় জনসভায় যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য দিবেন।