জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) পাস হচ্ছে।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে এ বাজেট কণ্ঠভোটে পাস হওয়ার কথা রয়েছে। শুক্রবার (১ জুলাই) থেকে শুরু হচ্ছে নতুন অর্থবছর।এদিন থেকেই এই বাজেট কার্যকর হবে।
বুধবার (২৯ জুন) সংসদ অধিবেশনে অর্থ বিল-২০২২ কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে অর্থ বিল-২০২২ জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাবগুলো সংসদে কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। সংসদ সদস্যদের অর্থ বিলের ওপর আনীত সংশোধনীগুলোর মধ্যে ১৭টি প্রস্তাব কণ্ঠভোটে গৃহীত হয়। বাকিগুলো সদস্যদের কণ্ঠভোটে নাকচ হয়েছে।
অর্থ বিলে আয়কর, মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট এবং আমদানি শুল্ক সংক্রান্ত বিদেশে পাচার করা অর্থ-সম্পদ ফেরত আনার ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত সুযোগ-সুবিধায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ আনার ক্ষেত্রে যে সুযোগ রাখা হয়েছিল তা বাতিল করা হয়েছে। একইসঙ্গে কম হারে করপোরেট কর সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রেও সংশোধন আনা হয়েছে।
নতুন বাজেটে আগামী অর্থবছরের জন্য মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা। এটি জিডিপির ৯ দশমিক ৮ শতাংশ। নতুন বাজেটে এনবিআরের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হয়েছে। এনবিআর ৩ লাখ ৭৭ হাজার কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা পেয়েছে। এটি জিডিপির ৮ দশমিক ৪ শতাংশ। এনবিআরের লক্ষ্যমাত্রা নতুন বছর ৪০ হাজার কোটি টাকা বাড়ছে। শতকরা হিসাবে তা ১২ শতাংশ।
বাজেটে এনবিআর-বহির্ভূত রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৮ হাজার কোটি টাকা। কর-বহির্ভূত রাজস্ব (এনটিআর) আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৪৫ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে এ দুই খাতে আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা যথাক্রমে ১৬ হাজার কোটি ও ৪৩ হাজার কোটি টাকা। সে হিসাবে নতুন বাজেটে আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ছে যথাক্রমে ১৩ ও ৫ শতাংশ।