দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে ২০২১-২২ অর্থবছরে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৪২৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা। যা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ঠিক করে দেওয়া লক্ষ্যমাত্রার ২৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা কম।
মঙ্গলবার (৫ জুলাই) দুপুরে হিলি কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার কামরুল ইসলাম এতথ্য জানান।
হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা এস এম নুরুল আলম খান রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘অর্থবছরের জুলাই থেকে জুন মাস পর্যন্ত হিলি বন্দরে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৪২৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা। জুলাই মাসের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৩৬ কোটি ৩৬ লাখ টাকা, আদায় হয়েছে ৩৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। আগস্ট মাসের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৪৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকা, রাজস্ব আদায় হয়েছে ২৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। সেপ্টেম্বর মাসে লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৩৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা, আদায় হয়েছে ৩৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা। অক্টোবর মাসে লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৩৯ কোটি ২ লাখ টাকা, আদায় হয়েছে ৩৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা। নভেম্বর মাসে লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৪০ কোটি ৩২ লাখ টাকা, আদায় হয়েছে ৩২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। ডিসেম্বর মাসে লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৩০ কোটি ২৪ লাখ টাকা, আদায় হয়েছে ৩২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। জানুয়ারি মাসে লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৩৪ কোটি ১২ লাখ টাকা, আদায় হয়েছে ৪৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। ফেব্রুয়ারি মাসে লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা, আদায় ৩৯ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। মার্চ মাসে লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৪২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা, আদায় ৩৭ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। এপ্রিল মাসে লক্ষ্যমাত্রা ৪২ কোটি ৪১ লাখ টাকা, রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩৮ কোটি ২৭ লাখ টাকা, মে মাসে লক্ষ্যমাত্রা ২৭ কোটি ৬৬ লাখ টাকা, আদায় হয়েছে ৩৪ কোটি ২১ লাখ টাকা, জুন মাসে লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৪৪ কোটি ২৮লাখ টাকা, আদায় হয়েছে ৪২ কোটি ২৯ লাখ টাকা ‘
হিলি কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার কামরুল ইসলাম বলেন, ২০২০-২১ অর্থবছরে যে পরিমাণ চাল হিলি বন্দরে ভারত থেকে আমদানি হয়েছিলো, তার চেয়ে অনেক কম চাল আমদানি হয়েছে (২০২১-২২) অর্থবছরে। যার কারণে লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাইনি রাজস্ব আদায়। তবে যদি গত বারের মতো চালের আমদানি স্বাভাবিক থাকতো তাহলে লক্ষ্যমাত্রাকে ছাড়িয়ে যেতো রাজস্ব আদায়।