ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৯ উইকেটে হারিয়ে বাংলাদেশ তুলে নিয়েছে ওয়ানডে ক্রিকেটে ১৪২তম জয়। ৩৯৬ ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছে ২৪৭ ম্যাচ।
ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশ কেবল তিনটি দলকে ১০ বা তার বেশি সংখ্যক ম্যাচে হারিয়েছে। বলার অপেক্ষা রাখে না এই তালিকার সবার উপরে আছে বাংলাদেশের প্রিয় প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ (২০), তিনে নিউ জিল্যান্ড (১০) ।
৭৮ ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৫০ জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। হেরেছে ২৮টি। একটি পরিসংখ্যান ক্রিকেট সমর্থকদের গর্ব করার রসদ দেবে। এই ফরম্যাটে শেষ ১৯ ম্যাচে জিম্বাবুয়ে একবারও বাংলাদেশকে হারাতে পারেনি। ২০১৪ সালের ২১ নভেম্বরের পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়রথ ছুটেছেই।
এমনই এক রেকর্ড এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গেও হলো। গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে বুধবার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে যা বাংলাদেশের টানা দশম জয়। নিজেদের মাঠে, প্রতিপক্ষের মাঠে এবং নিরপেক্ষ ভেন্যুতে এই জয়ের মিছিল চলেছে। ওয়ানডেতে বাংলাদেশ ধারাবাহিক ক্রিকেট খেলছে এই ফল-ই তার প্রমাণ দেয়।
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে সিলেটে এই জয়রথের শুরু। সিলেট ঘুরে ডাবলিন। সেখানে ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তিন ম্যাচে হারায়। শেষ ম্যাচে হারিয়ে বাংলাদেশ জিতে নেয় ফাইনাল। ডাবলিন থেকে টনটন। টনটনে দুই দল মুখোমুখি হয়েছিল বিশ্বকাপ মঞ্চে। সাকিবের সেঞ্চুরি পাওয়া ম্যাচে পাত্তাই পায়নি গেইল, রাসেল, হোল্ডাররা।
টনটন থেকে মিরপুর হয়ে চট্টগ্রাম। আইসিসি সুপার লিগের তিন ম্যাচেই বাংলাদেশ জিতে যায় অতি সহজে। চট্টগ্রাম থেকে গানায়ার প্রভিডেন্স স্টেডিয়াম। সব ভেন্যুতেই চলছে বাংলাদেশের রাজত্ব। প্রতিটি ম্যাচেই বাংলাদেশ নিজেদের দাপট দেখিয়েছে। শ্রেষ্ঠত্ব বুঝিয়েছে। প্রথম ওয়ানডে জয়ের পর দ্বিতীয়টি জিতে তামিমের দল জিতেছে সিরিজ।
১৬ জুলাই এই মাঠেই হবে শেষ ম্যাচ। প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করার সূবর্ণ সুযোগ তামিম অ্যান্ড কোং হাতছাড়া করতে চাইবেন না নিশ্চয়ই।