হত্যার শিকার যশোর জেলা যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি বদিউজ্জামান ধোনির দাফন বুধবার (১৩ জুলাই) দুপুরে শহরের বেজপাড়া কবরস্থানে সম্পন্ন হয়েছে।
গত মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে যশোর শহরের শংকরপুর চোপদারপাড়া আকবরের মোড়ে একদল দুর্বৃত্ত ধোনিকে কুপিয়ে হত্যা করে। ওইদিন বিকেলেই ধোনির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।
জানা গেছে, বুধবার ১১টার দিকে শংকরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ধনির জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে তার লাশ বেজপাড়া কবরস্থানে দাফন করা হয়।
জানাজায় যুবদলের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন হাসান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার, বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতসহ বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা অংশ নেন।
পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, যুবদল নেতা বদিউজ্জামান ধোনির বিরুদ্ধে হত্যাসহ সন্ত্রাসী বিরোধী ও বিস্ফোরক আইনে ১২টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে যুবলীগ কর্মী ইয়াসিন আরাফাত হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন ধোনি। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বেজপাড়া ব্রাদার্স ক্লাবের সামনে হত্যাকান্ডের শিকার হন ইয়াসিন আরাফাত। এই মামলায় মাস খানেক আগে জামিনে জেল থেকে বের হয়েছিলেন ধনি।
এদিকে ধোনি হত্যাকাণ্ডে প্রাথমিক তদন্তে রায়হান নামে এক হামলাকারীকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। তাকে আটক করতে পারলে হত্যাকাণ্ডের জট খুলবে বলে ধারণা পুলিশের।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসেন জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হত্যার ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিকভাবে রায়হান নামে এক হামলাকারীকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাকে আটক করতে পারলেই হত্যাকাণ্ডের জট খুলবে।
হত্যাকাণ্ডের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহতের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেছেন র্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের সদস্যরা।
র্যাব-৬ যশোরের কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার নাজিউর রহমান জানান, তিনি নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। র্যাবের পক্ষ থেকে ছায়া তদন্ড চলছে।
যশোর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিদর্শক রূপন কুমার সরকার জানান, এখন পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কোনো মামলা দায়ের হয়নি। তবে জড়িতদের আটকের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।