এই মুহূর্তে বিশ্বে নতুন করে সংক্রমণ বিস্তারের জন্য করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের বিএ.৫ সাব-ভ্যারিয়েন্টকে দায়ী করা হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুনের প্রথম সপ্তাহে ৩৭ শতাংশ সংক্রমণ ঘটেছে বিএ.৫ এর মাধ্যমে। আর জুনের শেষ সপ্তাহে ৫২ শতাংশ সংক্রমণ ঘটিয়েছে এই সাব-ভ্যারিয়েন্টটি।
বিএ.৫ সাব-ভ্যারিয়েন্টটি অবশ্য নতুন নয়। গত জানুয়ারিতে এটি প্রথম শনাক্ত হয়। এপ্রিল থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর সংক্রমণের ওপর নজর দিতে শুরু করে। এই সাব-ভ্যারিয়েন্টটি শরীরের ইমিউনিটিকে ফাঁকি দিতে পারে। এর ফলে এটি মানুষকে পুনরায় সংক্রমিত করতে পারে। এমনিক টিকা নিলেও এই সাব-ভ্যারিয়েন্ট পুনরায় আক্রমণ করতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভিড-১৯ এর টেকনিক্যাল দলের প্রধান মারিয়া ভ্যান কেরখোভ বলেছেন, ‘ওমিক্রনের অন্যান্য সাব-ভ্যারিয়েন্টগুলোর তুলনায় বিএ.৫ এর বিস্তার ক্ষমতা বেশি।’
মিনেসোটার রচেস্টারের মায়ো ক্লিনিকের ভাইরাস বিশেষজ্ঞ ও টিকা গবেষক গ্রেগরি পোল্যান্ড বলেছেন, ‘আমাদের কাছে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে যে ওমিক্রনে সংক্রমিত ব্যক্তিরা বিএ.৫ এর মাধ্যমে সংক্রামিত হচ্ছে। এটা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই।’
যদিও ক্রমবর্ধমান সংক্রমণের ফলে কিছু দেশে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা বেড়েছে, তবে মৃত্যু নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পায়নি। এর বড় একটি কারণ হচ্ছে, টিকার কারণে সংক্রমণ গুরুতর পর্যায়ে যাচ্ছে বা মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ছে না।
মারিয়া ভ্যান কেরখোভ জানিয়েছেন, বিএ.৫ ওমিক্রনের অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টগুলোর তুলনায় বেশি বিপজ্জনক এমন কোন প্রমাণ নেই। তবে এই সাব-ভ্যারিয়েন্টের কারণে সংক্রমণ বাড়ায় স্বাস্থ্যখাতে চাপ বাড়বে এবং অনেক বেশি মানুষকে করোনায় সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়াবে।