মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে চন্দ্র শেখর হালদার ওরফে মিল্টনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তিনি শিক্ষা অধিদপ্তরে কর্মরত থেকে এ কাজ করে আসছেন বলে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
সোমবার (২৫ জুলাই) দুপুরে ডিএমপির গণমাধ্যম শাখার প্রধান ডিসি মো. ফারুক হোসেন রাইজিংবিডিকে বলেন, সোমবার সকালে মিল্টনকে সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে আদালতে তুলে রিমান্ডে নেওয়া হবে।
গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, গত ১৩ মে বিকেলে ইডেন মহিলা কলেজ কেন্দ্রে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদের নিয়োগ পরীক্ষা এমসিকিউ চলছিল। এ সময় একজন শিক্ষার্থী প্রবেশপত্রের পেছনে লেখা উত্তর দেখে উত্তরপত্র পূরণ করছিল। তখন পরীক্ষকের বিষয়টি সন্দেহ হলে পরীক্ষার্থীর কাছে থাকা দুটি প্রবেশপত্র পাওয়া যায়। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এ সময় দেখেন প্রবেশপত্রের পেছনে উত্তর ছোট ছোট করে লেখা আছে। তখন কেন্দ্র কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয় এবং পুলিশের উপস্থিতিতে সুমন জমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, পরে সুমনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরদিন সকালে ওয়ারী থানার অভয় দাস লেন এলাকা থেকে সাইফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। সুমন ও সাইফুলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ও প্রযুক্তির সহায়তায় প্রশ্ন ও উত্তরপত্র ফাঁস চক্রের ঘটনায় আরও অভিযুক্তদের শনাক্ত করতে গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত থাকে। ১৭ মে ওয়ারীর কে এম দাস লেন এলাকা থেকে নওশাদুল ও ১৮ মে দুপুরে মগবাজার এলাকা থেকে চক্রের আরেক সদস্য রাশেদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপরই মিল্টনের নাম বেরিয়ে আসে। তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের শিক্ষা কর্মকর্তা-১ হিসেবে কর্মরত আছেন।