জন্মের পর থেকেই ঠিকভাবে চলতে পারে না কুলসুমা আক্তার (৮)। ভালো করে কথা বলতে ও নিজ ইচ্ছায় খেতেও পারে না সে। ফলে কুলসুমাকে নিয়ে মানবেতর জীবন কাটছে তার হতদরিদ্র পরিবারের।
হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার লেঞ্জাপাড়া এলাকার বাসিন্দা উজ্জ্বল মিয়ার মেয়ে কুলসুমা আক্তার।
কুলসুমার বাবা প্রায় দুই বছর ধরে নিখোঁজ। মা মমতাজ বেগম স্থানীয় একটি কোম্পানিতে শ্রমিকের কাজ করে কোনো মতে সংসার চালান। লেঞ্জাপাড়া এলাকার শায়েস্তাগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের পেছনের একটি বাড়িতে ভাড়া থেকে চলছে তাদের জীবন। ওই বাড়িতে মা, বোন ও দাদির সঙ্গে থাকে কুলসুমা।
কুলসুমার দাদি মরিয়ম চাঁন বলেন, ‘আমার নাতী প্রতিবন্ধী। ওর বেঁচে থাকা ও ভবিষ্যতের জন্য একটি প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড প্রয়োজন। এছাড়া চলাচলের জন্য একটি হুইলচেয়ারও দরকার। টাকার অভাবে আমরা কুলসুমাকে চিকিৎসা করাতে পারছি না।’
এদিকে প্রতিবেদকের মাধ্যমে প্রতিবন্ধী কুলসুমার কথা জেনে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ গাজীউর রহমান ইমরান বলেন, ‘উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবালের সঙ্গে কথা বলে শিশুটিকে দ্রুত ভাতার কার্ড প্রদান করা হবে। এছাড়াও তাকে নানাভাবে সহযোগীতা করার চেষ্টা করবো।’
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার নানা ধরণের ভাতার কার্ড প্রদান করছেন। এখানে ওই শিশুটি বঞ্চিত থাকতে পারে না। তাকে ভাতার কার্ড প্রদান করা হবে।’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ( ইউএনও) নাজরাতুন নাঈম বলেন, ‘বর্তমান সরকারের উন্নয়নগুলো আমরা তৃণমূলে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করছি। শিশু কুলসুমাকেও প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড প্রদান করা হবে।’