আঁটসাঁট বোলিংয়ে জিম্বাবুয়েকে ১৪ ওভার পর্যন্ত থামিয়ে রেখেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ ৬ ওভারে পেসাররা এমন বিবর্ণ পারফরম্যান্স করলেন যে ম্যাচটাই বের করে ফেলে স্বাগতিকরা।
হারারেতে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আগে ব্যাটিং করে জিম্বাবুয়ে ১৪ ওভারে ১১৪ রান তোলে। শেষ ৬ ওভারে ঝড় তুলে, বাউন্ডারির বৃষ্টিতে ৯১ রান তোলেন সিকান্দার রাজা ও মাধভেরে।
সব মিলিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথমবার টি-টোয়েন্টিতে দুইশর বেশি রান তুলে ২০৬ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় ক্রেইগ আরভিনের দল। লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশ ১৮৮ রানের বেশি করতে পারেনি। ১৭ রানে ম্যাচ হারে বাংলাদেশ।
ডেথ ওভারে বাংলাদেশের দূর্বল বোলিংয়ই ম্যাচ ডুবিয়েছে। এই ম্যাচ দিয়ে কাজী নুরুল হাসান সোহানের অধিনায়কত্বের যাত্রা শুরু হয়েছে। ১৭ রানে ম্যাচ হারলেও তার বিশ্বাস ছিল বিশাল লক্ষ্য তাড়া করে জয় পাওয়া সম্ভব।
ম্যাচ হারের পর পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে সোহান বলেছেন, ‘আমাদেরকে সামনের ম্যাচে শেষ দিকে কয়েকটি ওভার ভালো বোলিং করতে হবে। আমি মনে করি ১৫-২০ রান যদি কম হতো তাহলে ম্যাচে আমাদের পক্ষে ইতিবাচক ফল হতো। তারপরও মনে হয়েছিল আমরা রান তাড়া করতে পারবো। উইকেট ভালো ছিল। আশা করছি দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে শক্তভাবে ঘুরে দাঁড়াব।’
ম্যাচ হারলেও সোহানের ২৬ বলে ৪২ রানের ঝড়ো ইনিংস প্রশংসিত হচ্ছে সর্বত্র। ১ চার ও ৪ ছক্কায় তার বিস্ফোরক ইনিংসটিতে বাংলাদেশ এক পর্যায়ে জয়ও দেখছিল। কিন্তু জিম্বাবুয়ের পেসারদের দারুণ ডেথ বোলিংয়ে সোহানের একার লড়াই কাজে আসেনি।
ব্যাটিংয়ে লিটন ও শান্ত ভালো করেছেন। লিটন ১৯ বলে ৩২ ও শান্ত ২৫ বলে ৩৭ রান করেছেন। এই দুই ব্যাটসম্যানের মধ্যে কেউ একটা লম্বা ইনিংস খেললেই ম্যাচটা বাগিয়ে নিয়ে আসতে পারত বাংলাদেশ।
রোববার দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। ভুল শুধরানোর সুযোগ নেই। তবে সিরিজ বাঁচাতে জয়ের কোনো বিকল্প পথও খোলা নেই। তাইতো প্রথম ম্যাচের ইতিবাচক দিকগুলো গ্রহণ করে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় সোহানের কণ্ঠে,
‘এই ম্যাচের মধ্যেই অনেক ইতিবাচক দিক আছে। সেখান থেকেই আমরা ইতিবাচক দিকগুলো নেবো। আমাদের কিছু জায়গায় অবশ্যই উন্নতির জায়গা আছে। সেগুলো আমরা উন্নতি করে পরের ম্যাচে নামবো।’