শিষ্যদের আগলে রাখার কাজটা দারুণভাবে করতে পারেন কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। ছেলেদের ব্যর্থতা আড়াল করে সমালোচনা থেকে বেরিয়ে আসার পথ খুঁজে দিতে পারেন। কিন্তু হারারের দুই ওয়ানডেতে হারের পর বিমর্ষ কোচ সাফ জানালেন, ‘দারুণ কিছু শিক্ষা হয়েছে।’
গত নয় বছরে জিম্বাবুয়ের বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডেতে কোনো জয় ছিল না। অথচ সেই দলটাই টানা দুই ম্যাচ জিতে বাংলাদেশকে অবাক করে দিয়েছে। প্রথম ওয়ানডেতে ৩০৩ রান এবং দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ২৯০ রান তাড়া করে জিতেছে। এর আগে ১৯ ওয়ানডেতে কোনো ম্যাচ না হারা বাংলাদেশ আত্মতৃষ্টিতে ভুগেছে কি না এমন প্রশ্ন উঠছে বারবার।
জিম্বাবুয়ে হারাতে পারবে না এমন ভাবনা কি এসেছিল ক্রিকেটারদের মাথায়? ডমিঙ্গো সরাসরি এমন দাবি উড়িয়ে দিলেন, ‘আত্মতুষ্টির কোনও ব্যাপার ছিল না দলে। কারণ, আমরা জানতাম নিজেদের কন্ডিশনে ওরা কতটা বিপজ্জনক। গত বছর আমরা ৩-০ তে জিতলেও দুটি ম্যাচে জোর লড়াই হয়েছিল। আত্মতুষ্টি তাই কখনোই আসেনি আমাদের।’
বরং ডমিঙ্গো তামিম, মাহমুদউল্লাহ, মুশফিকদের ভুলগুলো ধরিয়ে দিয়েছেন গণমাধ্যমে, ‘জিম্বাবুয়ের চারটি শতরান আছে, আমাদের একটিও নেই। আমাদের ৩০, ৪০ রানের ইনিংস আছে, ৫০ আছে। কিন্তু শতরান করতে হবে, ম্যাচ জেতানো ইনিংস লাগবে।’
২০২৩ বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ দল বেশ ভালোভাবেই আগাচ্ছিল। ঘরের মাঠে আফগানিস্তানকে হারানোর পর দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে সিরিজ জিতেছে তারা। কিন্তু জিম্বাবুয়েতে স্রেফ ভরাডুবি। এই সিরিজ আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগের অংশ না হওয়ায় বাংলাদেশ বড় বিপদ থেকে বেঁচেছে বলেই মনে করছেন ডমিঙ্গো, ‘কোচিং স্টাফ হিসেবে আমাদের জন্য ও ক্রিকেটারদের জন্য দারুণ কিছু শিক্ষা হয়েছে। বিশ্বকাপের এখনও প্রায় বছর দেড়েক সময় বাকি আছে। সৌভাগ্যবশত এই খেলাগুলোর কোনও পয়েন্ট নেই। আমাদের জন্য তাই এটাকে দারুণ শিক্ষণীয় অভিজ্ঞতা হিসেবে নিতে হবে এই সিরিজ।’
সামনে ভুলগুলো শুধরে নেওয়ার কথাও বলেছেন এ প্রোটিয়া কোচ, ‘দেখুন, গত বছর দেড়েকের পারফরম্যান্সে ওয়ানডে দলের সমালোচনা করা কঠিন। অসাধারণ কিছু ফল, দারুণ কিছু জয় ওরা পেয়েছে। তবে অনেক কাজ করার বাকি আছে ব্যাটিং ও বোলিংয়ে।’