মুশফিকুর রহিম তখনও বিকেএসপিতে যোগ দেননি। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ময়মনসিংহে টুকটাক ক্রিকেট খেলেন। তামিম ইকবালের তখন চলছে ক্রিকেটে হাতেখড়ি। আফিফ হোসেনের বয়স কেবল দুই। শরিফুলের এক। হাসান মাহমুদের বয়স কেবল দুই। জিম্বাবুয়ে সফররত বাংলাদেশের বাকি ক্রিকেটারদের কি অবস্থা তা অনুমান যায় সহজেই।
বলা হচ্ছে ২০০১ সালের নভেম্বরের কথা। যেবার জিম্বাবুয়ে বাংলাদেশকে শেষ ওয়ানডে ক্রিকেটে হোয়াইটওয়াশ করেছিল। ২১ বছর পর জিম্বাবুয়ে সেই একই অবস্থানে দাঁড়িয়ে। হারারেতে প্রথম দুই ওয়ানডেতে স্বাগতিকরা বাংলাদেশকে স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছে। ১০ আগস্ট তৃতীয় ওয়ানডেতে মাঠে নামবে দুই দল। ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলে জিম্বাবুয়ে নিশ্চয়ই চাইবে বাংলাদেশকে হতাশায় ডুবিয়ে হোয়াইটওয়াশের তীব্র যন্ত্রনা দিতে। বাংলাদেশ অন্তত একটি ম্যাচ জিতে নিজেদের সম্মান বাঁচাতে চাইবে।
২০০১ সালে দুইবার জিম্বাবুয়ে ও বাংলাদেশ মুখোমুখি হয়েছিল। এপ্রিলে বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ে সফরে গিয়েছিল। সিরিজ হেরেছিল ৩-০ ব্যবধানে। এরপর বছরের শেষ দিকে বাংলাদেশে এসেছিল তারা। ফলাফল একই, ৩-০। এরপর ধীরে ধীরে বাংলাদেশের ক্রিকেটে উন্নতি শুরু হয়। ২০০৪ সালে পাঁচ ম্যাচ সিরিজ জিম্বাবুয়ে জিতে নেয় ২-১ ব্যবধানে। দুটি ম্যাচ বৃষ্টিতে পণ্ড হয়।
পরের বছর জিম্বাবুয়ে বাংলাদেশে এলে প্রথমবার বাংলাদেশ তাদের বিপক্ষে সিরিজ জেতে ৩-২ ব্যবধানে। এরপর জিম্বাবুয়ে বাংলাদেশের লড়াই সমানে সমান। কেউ কাউকে ছাড় দেয় না। আজ জিম্বাবুয়ে জেতে তো কাল বাংলাদেশ। এভাবে ২০১৩ সাল পর্যন্ত এগিয়ে যায়।
কিন্তু এরপর পাল্টে যায় বাংলাদেশ। ২০১৫ থেকে ২০২২ পর্যন্ত টানা ১৯ ম্যাচ, পাঁচ সিরিজ শুধুই বাংলাদেশের রাজত্ব। দেশে, বাইরে সবখানে বাংলাদেশের জয়জয়কার।
কিন্তু এবার সিকান্দার রাজা, চাকাভা, কাইয়া, বার্লরা বাংলাদেশকে ভিন্ন রূপ দেখালেন। যেখানে শুধুই তাদের রাজত্ব। দুই ওয়ানডেতে একদমই ভালো ক্রিকেট খেলতে পারেনি বাংলাদেশ। তাতে হারের তিক্ত স্বাদ পেতে হয়েছে তামিম অ্যান্ড কোং-কে।
শেষ ওয়ানডেতে কি হবে ভাবনারও বাইরে। তবে শেষটা নিশ্চিয়ই রাঙাতে চাইবে দুই দল। কে হাসবে শেষ হাসি তা দেখতে দুদিন অপেক্ষা করতেই হবে।