চা শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণে প্রায় ৫ ঘণ্টার মতো ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের পরও কোনো সমঝোতা হয়নি। ফলে চলমান ধর্মঘট অব্যাহত রেখেছেন শ্রমিকরা। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান চা শ্রমিকরা।
বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) ৩০০ টাকা মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে চা শ্রমিকদের ডাকা পূর্ণ দিবস কর্মবিরতির ৬ষ্ঠ দিন অতিবাহিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন : পাতা ও রাবার কষ নষ্টের অভিযোগে ৫ চা বাগানের জিডি
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা বলেন, বর্তমানে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয়টি বিবেচনায় এনে বৈঠকে মালিক পক্ষের কাছে ৩০০ টাকা মজুরি দাবি করা হয়। মালিক পক্ষ মাত্র ২০ টাকা মজুরি বৃদ্ধির প্রস্তাব করে। এ ২০ টাকায় তাদের সংসারে ব্যয় মেটানো কোনোভাবেই সম্ভব না। এ বিষয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেন।
শ্রমিক নেতারা জানান, সাধারণ শ্রমিকরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী যা দেবেন তারা তা মেনে নেবেন।
আরও পড়ুন: চা শ্রমিকদের ধর্মঘট অব্যাহত
এদিকে, বাগান মালিকরা কাঁচা চা পাতা ও রাবার কষ নষ্টের কথা জানিয়ে গতকাল পর্যন্ত ৫টি জিডি করেছেন।
মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে দেশের ১৬৭টি চা বাগানের মতো মৌলভীবাজারের ৯২টি চা বাগান, হবিগঞ্জ, সিলেটসহ সারা দেশের চা বাগানের শ্রমিকরা ধর্মঘট পালন করছেন।