হবিগঞ্জে ৩০০ টাকা মজুরির দাবি আদায়ে চা শ্রমিকদের ধর্মঘট অব্যাহত রেখেছেন। শুক্রবার (২৬ আগস্ট) পূর্ণদিবস ধর্মঘটের ১৪ তম দিনেও তারা বিভিন্ন বাগানে সভা, সমাবেশ, মানববন্ধন করে আন্দোলন করছেন।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে বাগানগুলোর পক্ষ থেকে ১৫ আগস্ট সরকারি ছুটি ও একদিনের অর্জিত ছুটিসহ দুইদিনের বেতন হিসেবে জনপ্রতি শ্রমিকরা ২৪০ টাকা পেয়েছেন। কঠিন সময়ে এ টাকা পাওয়ায় শ্রমিকদের ঘরের চুলায় আগুন জ্বলেছে।
শনিবার (২৭ আগস্ট) ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বাগান মালিকদের সভা হওয়ার কথা। এ কথা জানায় শ্রমিকদের মধ্যে কিছুটা হলেও স্বস্তি এসেছে। সাধারণ শ্রমিকরা মনে করেন, ওই সভা থেকে সমাধান আসবে। সভার সিদ্ধান্তে দাবি পূরণ সাপেক্ষে তারা কাজে ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন।
চা শ্রমিকরা জানান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাদের ভোটের অধিকার দিয়েছিলেন। এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চাওয়া দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা করে দেওয়ার।
অব্যাহত ধর্মঘটের কারণে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে জেলার চুনারুঘাট, বাহুবল, নবীগঞ্জ ও মাধবপুরের ফাঁড়িসহ ৪১টি চা বাগানের মালিকরা। ধর্মঘট থেকে শ্রমিকদের ফেরাতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান, পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলি, জনপ্রতিনিধি, উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা। তারা শ্রমিকদের নিয়ে একের পর এক সভা করছেন।
বিভিন্ন বাগান ঘুরে দেখা গেছে, চা গাছের পাতাগুলো অনেক লম্বা হয়েছে। এভাবে থাকায় পাতাগুলো উৎপাদন ক্ষমতা হারিয়ে যাচ্ছে। এর আগে উত্তোলন করা পাতাগুলো শুকিয়ে একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে। ৩০০ টাকা মজুরি আদায়ে ৯ থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত দৈনিক দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করেন শ্রমিকরা। বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) সন্ধ্যায় হবিগঞ্জের ১০ জন শ্রমিক নেতার সঙ্গে শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত বিভাগীয় শ্রম দফতরের কর্মকর্তারা বৈঠকে বসলেও আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি। তাই শনিবার (১৩ আগস্ট) থেকে টানা ধর্মঘটের ডাক দেন চা শ্রমিকরা।