কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণের ওপর আরোপিত বিধি-নিষেধ শিথিল করেছে সরকার। দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য সরকারি কর্মকর্তারা বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবেন।
এ বিষয়ে সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের বাজেট বিভাগ থেকে একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় এক্সপোজার ডিজিট/স্টাডি ট্যুর/এপিএ ও ইনোভেশনের আওতাভুক্ত বৈদেশিক ভ্রমণ/ ওয়ার্কশপ/সেমিনারে অংশ নেওয়া বন্ধ থাকবে। তবে সরকারি কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির কার্যক্রম অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে কয়েকটি ক্ষেত্রে সীমিত আকারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে বিদেশ ভ্রমণ করা যাবে।
যেসব ক্ষেত্রে বিদেশ ভ্রমণ করা যাবে-পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় সরকারি অর্থায়নে এবং বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা/বিশ্ববিদ্যালয়/দেশ কর্তৃক প্রদত্ত স্কলারশিপ/ ফেলোশিপের আওতায় বৈদেশিক অর্থায়নে মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্সে অধ্যয়নের জন্য বিদেশ ভ্রমণ।
সরকারের সঙ্গে বিভিন্ন বৈদেশিক প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান/বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকের (এমওইউ) ভিত্তিতে পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় আয়োজিত বিশেষায়িত/পেশাগত প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ। বিদেশি সরকার/প্রতিষ্ঠান/উন্নয়ন সহযোগীর আমন্ত্রণে ও সম্পূর্ণ অর্থায়নে আয়োজিত বৈদেশিক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ।
সরবরাহকারী/ঠিকাদার/পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে সেবা/পণ্যের গুণগত মান নিরীক্ষা পরিদর্শনের উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাসহ কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ।
এর আগে গত ১২ মে থেকে ‘পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় সকল প্রকার বৈদেশিক ভ্রমণ সীমিতকরণ’ শীর্ষক একটি পরিপত্র জারি করা হয়।
ওই পরিপত্রে বলা হয়, কোভিড-১৯ পরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং বর্তমান বৈশ্বিক সংকটের প্রেক্ষাপটে ওয়ার্কশপ/সেমিনারে অংশগ্রহণসহ সব রকম বৈদেশিক ভ্রমণ বন্ধ থাকবে। এ আদেশ উন্নয়ন ও পরিচালন বাজেট উভয় ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে এবং অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে অর্থ বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, একটি দক্ষ প্রশাসন গড়ে তোলার জন্য প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। তাই কিছু ক্ষেত্রে বিদেশি প্রশিক্ষণের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। তবে এই সুযোগ যেন অপব্যবহার না হয় সে বিষয়ে নজরদারি থাকবে।