দিনাজপুরের হাকিমপুরে খাদ্য ও দুর্যোগ মন্ত্রণালরে অধীনে ত্রাণ ও পূর্ণবাসন অধিদপ্তরের দুর্যোগজনিত কর্মসূচির আওতায় ২০০৪-২০০৫ অর্থবছরে হাকিমপুর উপজেলায় ৮৭ জন উপকারভোগীদের মধ্যে ৫ লাখ ৯৫ হাজার টাকা ঝুঁকি ঋণ বিতরণ করা হয়। বিতরণকৃত ওই ঋণের ৩ লাখ ২৯৫ টাকা আদায় হলেও এখনো অনাদায়ী আছে ২ লাখ ৯৪ হাজার ৭০৫ টাকা।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) কাওসার আহম্মেদ রাইজিংবিডিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কাওসার আহম্মেদ বলেন, ‘পরপর কয়েক দফা নোটিশ দিলেও ঋণগ্রহীতারা ঋনের টাকা পরিশোধ করছেন না।’
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০০৪-২০০৫ অর্থবছরে ত্রাণ ও পূর্ণবাসন অধিদপ্তর সারাদেশে ঝুঁকি ঋণ প্রকল্প চালু করে। অধিদপ্তরের নির্দেশনা ছিল, যারা আর্থিক সুবিধা বঞ্চিত এবং যাদের মাসিক আয় সাড়ে তিন হাজার টাকার কম তারাই এই ঋণ সুবিধা পাবেন। সেইমতে উপজেলার একটি পৌরসভাসহ তিনটি ইউনিয়নে ৮৭ জন উপকারভোগীদের মধ্যে ৫ লাখ ৯৫ টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়। এরমধ্যে হাকিমপুর পৌর এলাকায় ২৩ জন উপকারভোগীর মধ্যে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা, বোয়ালদাড় ইউনিয়নের ১৭ জনের মধ্যে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা, আলীহাট ইউনিয়নে ১৯ জনের মধ্যে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা এবং খট্রামাধবপাড়া ইউনিয়নের ২৭ জন উপকারভোগীর মধ্যে ২ লাখ ৫ হাজার টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়।
প্রত্যেক ঋণগ্রহীতাদের ২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে চেকের মাধ্যমে ঋণ বিতরণ করা হয়েছিল। তাদের মাসিক কিস্তিতে এই ঋণ পরিশোধ করার কথা। কিছু কিছু ঋণগ্রহীতা কয়েকটি কিস্তি পরিশোধ করলেও অর্ধেক টাকায় রয়েছে অনাদায়ী।
খট্টামাধবপাড়া ইউনিয়নের তৎকালীন চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক মন্ডল বলেন, ‘ওই সময় তার ইউনিয়নে ২৭ জনের মধ্যে ঋণের টাকা বিতরণ করা হয়। ঋণ আদায়ের জন্য ঋণ গ্রহীতার বরাবর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। তারপরও তারা ঋণ পরিশোধ করেননি।’
হাকিমপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) কাওসার আহম্মেদ বলেন, ‘উপজেলার একটি পৌরসভা ও তিনটি ইউনিয়নে ৮৭ ঋনগ্রহীতার মধ্যে ৫ লাখ ৯৫ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়। ঋণগ্রহীতারা যাতে ঋণ পরিশোধ করে সেজন্য ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদেরকে তাগাদা দেওয়া হচ্ছে।’
হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নুর-এ আলম রাইজিংবিডিকে বলেন, ঝুঁকি ঋণের টাকা আদায়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে ঋণগ্রহীতাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয় হবে।’