পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার করতোয়া নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় নতুন করে আরও ৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে।
সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকা থেকে আসা ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন) লে. কর্ণেল জিল্লুর রহমান এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জিল্লুর রহমান বলেন, রোববার সর্বশেষ ২৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে প্রথম দিনের মতো উদ্ধারকাজ স্থগিত হয়। সোমবার সকাল থেকেই আমরা উদ্ধার কাজে নেমেছি। এখন পর্যন্ত আরও ১৫ জনের লাশ পাওয়া গেছে।
এদিকে নিহত ৩৯ জনের পরিচয় নিশ্চিতের তালিকা প্রকাশ করেছে জেলা প্রশাসনের জরুরি তথ্য কেন্দ্র।
তালিকা অনুযায়ী মারা যাওয়ারা হলেন- হাশেম আলী (৭০), শ্যামলী রানি (১৪), লক্ষী রানি (২৫), অমল চন্দ্র (৩৫), শোভা রানি (২৭), দিপঙ্কর (৩), পিয়ন্ত (২), রুপালি ওরোফে খুকি রানি (৩৫), প্রমিলা রানি (৫৫), ধনবালা (৬০), সুনিতা রানি (৬০), ফাল্গুনী (৪৫) প্রমিলা দেবী, জ্যোতিশ চন্দ্র (৫৫), তারা রানি (২৫), সানেকা রানি (৬০), সফলতা রানি (৪০), বিলাশ চন্দ্র (৪৫), শ্যামলী রানি ওরফে শিমুলি (৩৫), উশোশি (৮) তনুশ্রী (৫), শ্রেয়সী, প্রিয়ন্তী (৮), সনেকা রানী (৬০), ব্রজেন্দ্র নাথ (৫৫), ঝর্ণা রানী (৪৫), দীপ বাবু (১০), সূচিত্রা (২২), কবিতা রানী (৫০), বেজ্যে বালা (৫০), দিপশিখা রানী (১০), সুব্রত (২), জগদীশ (৩৫), যতি মিম্রয় (১৫), গেন্দা রানী, কনিকা রানী, সূমিত্রা রানী, আদুরী (৫০) এবং পূষ্পা রানী। তাদের সবার বাড়ি পঞ্চগড়েই।
পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। এছাড়া, আহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।’
রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) শারদীয় দুর্গোৎসবের মহালয়া উপলক্ষে দুপুরে আউলিয়া ঘাট থেকে একটি শ্যালো ইঞ্জিনচালিত নৌকায় বড়শশী ইউনিয়নের বদেশ্বরী মন্দিরের দিকে যাচ্ছিলেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। ঘাট থেকে নৌকাটি কিছু দূর যাওয়ার পরই করতোয় নদীতে সেটি ডুবে যায়। নৌকা ডুবির ঘটনায় কয়েকজন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও ৩৯ জন মারা যান। ওই ঘটনায় এখনো অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন।