কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চার মাঝিকে (নেতা) কীভাবে কার ইন্ধনে খুন করা হয়েছে তার বর্ণনা দিলেন মো. হাসিম (২১) নামের রোহিঙ্গা যুবক। এক মাসে ৪ নেতা খুনের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও আকারে প্রকাশ করেছেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, মো. হাসিম একটি অস্ত্র হাতে কোন ক্যাম্পের কোন মাঝিকে কীভাবে হত্যা করা হয়েছে তার বর্ণনা দিচ্ছেন। ভিডিওতে হাশিমকে বলতে দেখা যায়, তার মতো ২৫ জন যুবককে অস্ত্র দিয়েছে ইসলামী সংগঠন ‘মাহাজ।’
হাসিম উল্লাহ উখিয়ার ১৮নং ক্যাম্প, ব্লক-এইচ/৫৩ এর বাসিন্দা আবদুর জব্বারের ছেলে।
হাসিম বলেন, 'আমাদের ২৫ জনকে ২৫টি পিস্তল দিয়ে হত্যার মিশন বাস্তবায়ন করা হতো। মিশন শেষ হলে মোটা অংকের টাকা দেওয়া হতো। আমরা তিন মাঝি ও এক ভলান্টিয়ারকে হত্যা করেছি। তারা হলেন, ১৮ নম্বর ক্যাম্পের হেড মাঝি আজিম উদ্দিন, সানা উল্লাহ, জাফর ও ক্যাম্প ১৭ এর ইসমাঈল।
ভিডিও বার্তায় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপ ইসলামী ‘মাহাজ’ সংগঠনের চার মুখপাত্রের নামও বলেন ওই যুবক। তারা হলেন- জিম্মাদার শাহাব উদ্দিন, রহমত উল্লাহ, হেড মাঝি ভূঁইয়া, মৌলভী রফিক, কাদের ও খায়রুল। এরা সংগঠনের নেতৃত্ব দিতেন বলেও দাবি করেন তিনি।
রোহিঙ্গা যুবক আরও জানান, তাদের সামনে আরও বড় মিশন ছিল। কিন্তু ক্যাম্পে খুন খারাবি বেড়ে গেলে নিজের ভুল বুঝতে পেরেছেন তিনি। তাই এই খারাপ জগৎ ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চান। ভবিষ্যতে এ রকম ভুল করলে তাকে যে শাস্তি প্রশাসন দেবে তা মেনে নিবেন বলে ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন তিনি।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দায়িত্বরত ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, 'ভিডিওতে এই যুবক যাদের নাম উল্লেখ করেছেন তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া ক্যাম্পের নিরাপত্তার জন্য আমরা সবসময় সজাগ রয়েছি।'