কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের আটটি দানবাক্স খুলে পাওয়া যায় ১৫ বস্তা টাকা। সারাদিন গণনা শেষে যার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার ৮৮২ টাকা। যা পাগলা মসজিদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। নগদ টাকা ছাড়াও দানবাক্সে সোনা-রুপার গহনা ও বিভিন্ন দেশের মুদ্রা ছিল।
শনিবার (১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘সকাল ৮টার দিকে জেলা প্রশাসনের কয়েকজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও মসজিদ কমিটির কর্মকর্তাদের সামনে দানবাক্সগুলো খোলা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এবার তিন মাস একদিন পর দানবাক্স খোলা হয়েছে। আমরা গত দুই বছর ধরে মসজিদের দানের মূল টাকা খরচ করছি না। এগুলো ব্যাংকে জমা রাখা হচ্ছে। যা দিয়ে একটি ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে। যেখানে ৬০ হাজার মুসল্লির একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারবেন। নারীদের জন্য থাকবে পৃথক নামাজের ব্যবস্থা। প্রকল্পটির জন্য প্রাথমিকভাবে ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা।’
আরও পড়ুন: পাগলা মসজিদের সিন্দুকে পাওয়া গেল ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা
এর আগে, গত ২ জুলাই দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন ৩ কোটি ৬০ লাখ ২৭ হাজার ৪১৫ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। তারও আগে, গত ১২ মার্চ দানবাক্স খুলে পাওয়া যায় ৩ কোটি ৭৮ লাখ ৫৩ হাজার টাকা।
জানা যায়, শনিবার সকালে দানবাক্স খোলার পর টাকাগুলো বস্তায় ভরে মসজিদের দোতলায় নিয়ে গণনার কাজ শুরু করা হয়। প্রায় দুই শ লোক দানের টাকা গোনার কাজে নিয়োজিত ছিলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এটিএম ফরহাদ, সহকারী কমিশনার জোহরা সুলতানা যুথী ও নাবিলা ফেরদৌস।