পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় করতোয়া নদীতে নৌকাডুবিতে পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারীকে হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে এমন ৯ পরিবারকে মোট ১৫ লাখ টাকা সহায়তাসহ খাদ্যসামগ্রী দিয়েছে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন।
সোমবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে এই সহায়তা হস্তান্তর করেন জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম। এতে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের বোর্ড মেম্বার জামাল উদ্দীন।
অনুষ্ঠানে নৌকাডুবিতে মারা যাওয়া বোদা উপজেলার সাকোয়া ইউনিয়নের শিংপাড়া গ্রামের প্রদীপ কুমারের পরিবারকে ৩ লাখ টাকা, একই ইউনিয়নের আরাজি শিকারপুর গ্রামের মহেন্দ্রনাথ রায়ের পরিবারকে ২ লাখ টাকা, দেবীগঞ্জ উপজেলার শালডাঙ্গা হাতিডুবা গ্রামের ভুপেন্দ্রনাথ-রূপালি দম্পতির পরিবারকে ২ লাখ, দেবীগঞ্জের মধ্য শিকারপুর গ্রামের কালিকান্ত এবং তার ছেলে অমল চন্দ্রের পরিবারকে ১ লাখ, শালডাঙা তেলিপাড়া গ্রামের অন্নকুমারের পরিবারকে ১ লাখ, বোদা উপজেলার মাড়েয়া বটতলি গ্রামের জগদীশ চন্দ্র রায়ের পরিবারকে ২ লাখ, একই গ্রামের সেন্টু বর্মনের পরিবারকে ২ লাখ, একই উপজেলার চন্দন বাড়ি ইউনিয়নের হিন্দু প্রধানপাড়া এলাকার জ্যোতিষ চন্দ্রের পরিবারকে ১ লাখ এবং আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের ত্রিশুলিয়া গ্রামের মলিন্দ্রনাথ বর্মনের পরিবারকে ১ লাখ টাকা দেওয়া হয়।
বিদ্যানন্দের বোর্ড মেম্বার জামাল উদ্দীন বলেন, ‘আমরা সবাই একে অপরের প্রতিবেশী। প্রতিবেশী হিসেবে আরেক প্রতিবেশীর বিপদে পাশে দাঁড়াতে আমাদের এখানে আসা। কোনো দাতা হিসেবে অনুদান দিতে আমরা এখানে আসিনি। আমরা জানাতে, এসেছি দেশের মানুষ আপনাদের পাশে আছে। এবং আমরা বিশ্বাস করি, আজ যে সব পরিবার সহায়তা নিয়েছে, তারাই একদিন অপর প্রতিবেশীর বিপদে পাশে দাঁড়াবে। সবাই মিলে উৎসব, সবাই মিলে বাংলাদেশ।’
তিনি বলেন, এর আগেও বরগুনায় লঞ্চ দুর্ঘটনায় এবং সম্প্রতি সীতাকুন্ড বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের হাতে অর্ধকোটি টাকার আর্থিক সহায়তা তুলে দেয় বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। করোনাকালীন সময়ে ১০ লাখ পরিবারে খাদ্য সহায়তা ও করোনা রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসার জন্য ফিল্ড হাসপাতাল চালু করে সংগঠনটি।