খুলনায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলছে। তবে নগরীর জিলা স্কুল কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি সবচেয়ে কম লক্ষ্য করা গেছে। এই কেন্দ্রে নির্বাচন শুরুর ৩ ঘণ্টায় ভোট পড়েছে মাত্র তিনটি।
খুলনা জিলা স্কুল কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার আব্দুল মমিন বলেন, ‘নির্বাচন শুরুর প্রথম তিন ঘণ্টায় অথাৎ ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত খুলনা জিলা স্কুল কেন্দ্রে ভোট পড়েছে মাত্র তিনটি। এই কেন্দ্রে ভোটারের সংখ্যা ৪২ জন। আশা করা হচ্ছে দুপুর ২টার আগেই বাকি ভোট পাওয়া যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘৪২ জন ভোটারের মধ্যে কেসিসি’র মেয়র এবং বাকিরা সবাই ওয়ার্ড কাউন্সিলর।’
খুলনার ফুলতলা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন কেন্দ্র দুপুর ১২টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৫৫টি। এই কেন্দ্রে শতভাগ ভোট কাস্টিং হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রিজাইডিং অফিসার মো. আনোয়ার হোসেন।
খুলনা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার সকাল ১০টার দিকে জিলা স্কুল কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
রিটার্নিং অফিসার কার্যালয়ের সূত্রে জানা গেছে, খুলনা জেলা পরিষদের নির্বাচনে জেলার ১০টি ভোট কেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
কেন্দ্রগুলো হচ্ছে- জিলা স্কুল, চালনা বাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, কয়রা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন, পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন, ডুমুরিয়া শহীদ যোবায়েদ আলী মিলনায়তন, ফুলতলা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন, বটিয়াঘাটা সরকারি হাই স্কুল, তেরখাদা শহীদ স্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দিঘলিয়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন ও রূপসা উপজেলা ভূমি অফিস।
খুলনা জিলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৯৭৮ জন। এই জেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, সংরক্ষিত তিনটি ওয়ার্ডে ১৫ জন, সাধারণ ৮টি ওয়ার্ডে ২৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া একক প্রার্থী থাকায় ৫ নম্বর ওয়ার্ডে (ফুলতলা) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাবিনা ইয়াসমিন মুক্তাকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়।
খুলনা জিলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগ সমর্থিত শেখ হারুনুর রশীদ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এস.এম.মোর্তজা রশীদী দ্বারা ও বিএমএ খুলনার সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম।
নির্বাচন সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে ১০ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ২০ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও ৪০ জন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করছেন।
পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সূত্র জানায়, প্রত্যেকটি কেন্দ্রে ৩ জন সশস্ত্র পুলিশ, ২ জন সশস্ত্র আনসার ও একজন লাঠিধারী আনসার ও একজন লাঠিধারী মহিলা আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।
জেলায় ৪ জন ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালতে পরিচালনা করছেন। নির্বাচনে বিজিবি, কোস্ট গার্ড, আর্ম পুলিশ ব্যাটালিয়ন, র্যাব, পুলিশ ও আনসার বিডিপি দায়িত্ব পালন করছে।