খেলাধুলা

নতুন পরিচয়, নতুন দল, চেনা মাশরাফি লক্ষ্যে অবিচল 

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) মানেই মাশরাফি বিন মর্তুজার এক অন্য রকম রাজত্ব। প্রতিযোগিতার আট আসরে চারবারই তার হাতে শিরোপা। অধিনায়ক হিসেবে তার চেয়ে সফল নন আর কেউ। তাইতো অবধারিতভাবে তার কাঁধেই নতুন আসরের নেতৃত্ব।

তবে এবার মাশরাফি নেই পুরোনো দলে। নামের পাশে যোগ হয়েছে নতুন দল। সঙ্গে নতুন পরিচয়ও। নতুন করে শুরু হতে যাওয়ার অপেক্ষায় থাকা বিপিএলে নতুন করে নাম লিখিয়েছেন ফিউচার স্পোর্টস বাংলাদেশ লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি বিপিএলে সিলেট দলের মানিকানা কিনেছে। দলের নাম সিলেট স্ট্রাইকার্স।

আনুষ্ঠানিক লোগো উন্মোচন অনুষ্ঠানে বুধবার মাশরাফিকেই অধিনায়ক হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয় সিলেট। বিপিএলে সিলেটের অবস্থান খুব শক্তিশালী নয়। এর আগে যারা মালিকানায় ছিলেন তারা চেষ্টা করলেও ভালো কিছু উপহার দিতে পারেননি। বিপিএলের সফলতম অধিনায়ক নিজের প্রথম সুযোগেই ভালো কিছু করে দেখাতে চান। এই দলে তার দায়িত্ব খেলার মাঠের থেকেও বেশি। সিলেটের দল গোছানোর কাজটা মাশরাফি নিজেও করছেন। প্রথম দানেই মাশরাফি মেরেছেন ছক্কা। পাকিস্তানের পেসার মোহাম্মদ আমিরকে দলে ভিড়িয়েছে তারা। সঙ্গে থিসারা পেরেরাকেও দলে টেনেছেন।

দল নিয়ে নিজের ভাবনা বেশ পরিস্কার মাশরাফির, ‘এটা নিশ্চিত আমি শতভাগ দিয়ে চেষ্টা করব। সিলেট কখনও চ্যাম্পিয়ন হয়নি, এটা সত্য। কখন (ভালো) হয়েছে, কখনও ভালো করতে পারেনি। এই জন্য শুরু থেকেই আলোচনা হচ্ছিল, তখন বলেছি যে দলটাকে খুব স্ট্রং করতে। সঙ্গে কোর টিমটাও। যতটুকু সম্ভব করা হয়েছে। এখন নির্ভর করছে প্লেয়ার ড্রাফটে কারা আসবে। ডিসিপ্লিন, মাঠের ভেতরে (পারফর্ম) এগুলো নির্ভর করে। দিনশেষে দল হিসেবে যখন খেলবো তখন বোঝা যাবে। আমরা আশাবাদী সবকিছুই ভালোভাবে হচ্ছে।’

বিদেশী ক্রিকেটার যারাই থাকুক না কেন মাশরাফির মূল নজর স্থানীয় ক্রিকেটারদের দিকে। নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে প্লেয়ার্স ড্রাফট অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে ভাগ্য পরীক্ষায় খেলায় ভালো মানের খেলোয়াড় বেছে নিতে হবে তাকে। তার বিশ্বাস, বিপিএল জেতাতে হলে ভালোমানের স্থানীয় ক্রিকেটার লাগবে।

‘এই টুর্নামেন্টে কিন্তু বিদেশি খেলোয়াড়দের থেকে স্থানীয় খেলোয়াড়দের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। সাতজন খেলবে স্থানীয়। প্লেয়ার্স ড্রাফটে যদি আমরা মোটামুটি অবস্থানে থাকতে পারি খারাপ হবে না। আমাদের চারজন বিদেশি কিন্তু বোলিং পারে, তিনজন ব্যাটসম্যান। এখানে কিন্তু কম্বিনেশন করতে সহজ হবে।’

মাশরাফিকে যারা দীর্ঘদিন পর সামনে দেখেছেন তারা স্রেফ অবাক। খেলাধুলায় না থাকায় শারীরিক গড়নে এসেছে পরিবর্তন। ওজন বেড়ে নব্বই ছুঁই ছুঁই। পেটে জমেছে মেদ। ফিটনেস নেই বললেই চলে। বিপিএলের আগে নিজের পুরোনো রূপে ফিরে আসবেন বলেই ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক, ‘এই ওজন নিয়েই খেলে ফেলব, চিন্তা করবেন না (হাসি)। পার্ট অব দ্য জোক... নিশ্চিত আমার ফিটনেস নিয়ে কাজ করতে হবে। কারণ, লম্বা সময়ের জন্য ক্রিকেটের বাইরে আছি। অন্যান্য কাজ নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। দুই মাস পর টুর্নামেন্ট। আমি কঠোর পরিশ্রম করব, নিজের সেরাটা দিব।’