স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা তাদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছেন।
রোববার (২৩ অক্টোবর) বিকেল ৩টার দিকে হাসপাতালের পরিচালক, চিকিৎসক ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা শেষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) সামির হোসেন সাদি কর্মবিরতি প্রত্যাহারের কথা জানান।
এর আগে উদ্ভুত পরিস্থিতির সমাধানে আজ (রোববার) সকালে ঢাকা থেকে রামেক হাসপাতালে আসেন সামির হোসেন।
আলোচনা শেষে সামির হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইন্টার্ন চিকিৎসকরা তাদের দাবি নিয়ে কর্মবিরতিতে ছিলো। যদিও হাসপাতালের জরুরি সেবা চলছিল। আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছি। অন্য কারও জন্য সাধারণ মানুষ যারা চিকিৎসা নিতে আসবে তারা তো প্রতিপক্ষ হতে পারে না। এ জন্য দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেছি। রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গেও আমাদের কথা হয়েছে। সবাই আশ্বস্ত করেছেন। এর প্রেক্ষিতে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করছেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘যারা হাসপাতালে হামলার সঙ্গে জড়িত তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশা করি। এই বিষয়টি ইন্টার্নদের আশ্বস্ত করা হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে তারা কাজে ফিরে যাচ্ছে। অল্প সময়ের মধ্যে প্রশাসনিকভাবে সবকিছুর সমাধান হয়ে যাবে।’
দুইপক্ষের মামলা নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা নিয়েও আলোচনা চলছে। আলোচনার বাইরে সমাধান সম্ভব নয়।’
গত বুধবার রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) হবিবুর রহমান হলের তৃতীয় ব্লকের ছাদ থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন মার্কেটিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার। ওই রাতে হাসপাতালে নেওয়া হলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় আইসিইউ চেয়েও না পাওয়া এবং চিকিৎসা না হওয়ার অভিযোগ তুলে রাবি শিক্ষার্থীরা হাসপাতালে ব্যাপক ভাঙচুর চালান। ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সঙ্গে তাদের মারামারির ঘটনাও ঘটে।
এনিয়ে রামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও রাবি কর্তৃপক্ষ থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা করেছে। রাবি শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে শনিবার দুপুর থেকে ৭২ ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন শুরু করেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। রোববার সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত হাসপাতালের সামনে তারা বিক্ষোভ করেন।
এদিকে রাবি শিক্ষার্থীরাও সকালে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। তারাও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের শাস্তি দাবি করেন।