সারা বাংলা

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়েছে সিরাজগঞ্জে

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এর প্রভাব পড়েছে সিরাজগঞ্জে। সোমবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকেই জেলা শহরে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির সঙ্গে বয়ে যাচ্ছে হালকা বাতাস। এতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষজন।

এদিকে বৃষ্টির কারণে শহর ও গ্রামাঞ্চলে ঘরের বাইরে লোকজনের উপস্থিতি কম লক্ষ করা গেছে। সেই সঙ্গে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মানুষের উপস্থিত কমেছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারনে যমুনা নদী পাড়ের মানুষেরাও দুশ্চিন্তায় রয়েছে।

স্থানীয় রিকশা চালক সুজাব হোসেন বলেন, ‘সংসারে স্ত্রী-সন্তানসহ চার সদস্য। বাজারে সবকিছুর দামই বেশি। সংসারে খরচও বেড়েছে। প্রতিদিন রিকশা চালিয়ে যা আয় হয় তা দিয়েই সংসার চলে। একদিন কাজ না করলে পেটে ভাত জুটাতে কষ্ট হয়। এ কারণে রিকশা নিয়ে বের হয়েছি। তবে রাস্তাঘাটে মানুষ কম থাকায় যাত্রী পাচ্ছি না। ফলে দুশ্চিন্তায় আছি।

সিএনজি চালক হান্নান শেখ বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের কারণে দুপুর পর্যন্ত একটা ভাড়াও মারতে পারি নাই। ষ্ট্যান্ড এলাকায় মানুষ জন নেই। ভাড়া না পেলে, বাড়িতে স্ত্রী-সন্তানের পেটে ভাত তুলে দিবো কি করে।’ 

শহরের এম.এ মতিন সড়কের কোর্ট এলাকার মুক্তিযোদ্ধা সুপার মার্কেটের শার্ট-প্যান্ট ব্যবসায়ী ইদ্রিস আলী বলেন, ‘বৃষ্টি ও বাতাসের কারণে মানুষ জনের উপস্থিতি নেই বললে চলে। দুপুর হয়েছে। এখন পর্যন্ত একজন ক্রেতাও আসেনি।’ 

তাড়াশ আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহেদুল ইসলাম বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আজ সোমবার সকাল থেকেই হালকা বাতাস ও বৃষ্টি হচ্ছে। বিকেল থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রপাত হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারি ও ভারী বর্ষণ হতে পারে।’ তিনি আরো বলেন, ‘দুপুর পর্যন্ত বাতাসের গতিবেগ রয়েছে ঘণ্টায় ৫-৬ কি.মি। এ গতি সামনে আরো বাড়বে।’