সারা বাংলা

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে দুর্ভোগে ব‌রিশাল নগরবাসী

ঘুর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবেলায় বরিশাল জেলায় ১ হাজার ৫১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। যেখানে ২ লাখ ৪০ হাজার মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। জনসাধারণকে সচেতন করতে সব স্থানে মাইকিং ও আবহাওয়ার সর্বশেষ তথ্য প্রচার করছে স্বেচ্ছাসেবকরা। 

ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাবে বরিশালে রোববার (২৩ অক্টোবর) রাত ৯টা থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে সোমবার নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কসহ অর্ধশতাধিক এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী। 

কেউ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হননি। মাঝে মাঝে দমকা বাতাস বইছে ও নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বরিশাল নদী বন্দরকে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সবধরণের লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। 

রোববার (২৩ অক্টোবর) রাত ৯টা থেকে সোমবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধা পর্যন্ত ১৮৫.৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল আবহাওয়া অফিসের জেষ্ঠ্য উচ্চ পর্যবেক্ষক মাসুদ রানা রুবেল।

মাসুদ রানা রুবেল জানান, আগামী দুই-তিন দিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। ফলে উপকূলীয় অঞ্চলে ৫-৮ ফুট পানি বৃদ্ধি পেতে পারে। উপকূলে ১০০ কিলোমিটার বেগেম ঝড়োবাতাস বয়ে যেতে পারে। 

টানা বৃষ্টিতে উপকূলের ঘরবাড়ি ও গাছপালার মাটি নরম হওয়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) বিভাগীয় উপ-পরিচালক শাহাবুদ্দিন মিয়া জানান, বরিশাল অঞ্চলে ৩২ হাজার ৫০০ স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে। স্বেচ্ছাসেবকরা সম্ভাব্য দুর্যোগের বিষয়টি জনগণের মাঝে প্রচার করছে।

বিআইডব্লিউটিএ-এর বরিশাল নৌবন্দর ও পরিবহণ বিভাগের উপপরিচালক আবদুল রাজ্জাক জানান, বরিশাল নৌবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত থাকায় সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে।

বরিশাল জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার বলেন, ঘুর্ণিঝড় মোকাবিলায় পর্যাপ্ত বিশুদ্ধ পানি, শুকনা খাবার এবং ওষুধের ব্যবস্থাসহ সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে সিপিপি, রেড ক্রিসেন্টসহ সকল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকে।

বিভাগীয় কমিশনার আমিন উল আহসান জানান, বিভাগের ছয় জেলার জেলা প্রশাসককে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সকল আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে একাধিক মেডিকেল টিম।