রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার নিহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে দিনব্যাপী অনশন কর্মসূচি পালন করেছেন এক শিক্ষক। ড. মো. ফরিদ উদ্দিন খান নামের ওই শিক্ষক রাবি’র অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক।
আরো পড়ুন: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে হলের বারান্দা থেকে পড়ে ছাত্রের মৃত্যু
সোমবার (৩১ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বরে তিনি এ কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা কর্মসূচিতে অংশ নেন।
আরো পড়ুন: চোখের জলে রাবিতে শাহরিয়ারকে শেষ বিদায়
অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, ‘সারাদেশে চিকিৎসকদের অবহেলা এবং সাধারণ মানুষের সেবা প্রাপ্তির অনিশ্চয়তা দিন দিন চরম আকার ধারণ করেছে। কিছু কিছু হাসপাতালে দেখা যাচ্ছে, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের হাতে রোগী ও তাদের স্বজনেরা লাঞ্ছনার শিকার হচ্ছেন। সম্প্রতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলেও চিকিৎসকের অবহেলায় তার মৃত্যু হয়। এর বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে তার সহপাঠীরা হামলার শিকার হন। চিকিৎসা ক্ষেত্রে এটা নগ্নতার পরিচয়। আমাদের সবার উচিৎ এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো। এর প্রতিবাদেই আজ আমি অনশন করেছি।’
আরো পড়ুন: রাবিতে সংসদ সদস্য বাদশাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা, কুশপুত্তলিকা দাহ
প্রসঙ্গত, গত ১৯ অক্টোবর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হলের তৃতীয় তলার বারান্দা থেকে পড়ে যান মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী মো. শাহরিয়ার। পরে তাকে উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এসময় তার সহপাঠীরা চিকিৎসকের দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ এনে বিক্ষোভ করেন। এরই একপর্যায়ে তারা হাসপাতালে ভাঙচুর চালান। এসময় হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক, নার্স ও আনসার সদস্যরা রাবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেন। এনিয়ে হাসপাতাল ও রাবি পাল্টাপাল্টি মামলা করেছে। পুলিশ মামলা দুটির তদন্ত করছে।