ব্রোকারেজ হাউজে চেক জমা দিয়েই শেয়ার কেনার সুযোগ পাবেন শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা। চেকের পাশাপাশি ব্যাংকের ডিমান্ড ড্রাফট (ডিডি) বা পে-অর্ডারের বিপরীতেও শেয়ার কেনা যাবে।
মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) এ সংক্রান্ত নতুন নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
বিএসইসির নির্দেশনা জানানো হয়েছে, গ্রাহক কোনো চেক, পে-অর্ডার বা ডিমান্ড ড্রাফটের বিপরীতে শেয়ার কিনলে ওই দিনই অথবা তার পরবর্তী দিনে তা ব্যাংকে তা উপস্থাপন করতে হবে। যদি কোনো ব্রোকার বা মার্চেন্ট ব্যাংক তা না করে বা করতে ব্যর্থ হয় তাহলে পরবর্তী এক বছরের জন্য ওই প্রতিষ্ঠান আইপিও/আরপিও ও রাইট শেয়ারের কোটা থেকে বঞ্চিত হবে।
যদি গ্রাহকের হিসাবে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকা বা অন্য কোনো কারণে ওই চেক পাশ না হয়, তাহলে তার দায় সংশ্লিষ্ট ব্রোকার বা মার্চেন্ট ব্যাংকের ওপর বর্তাবে। ওই ব্রোকার বা মার্চেন্ট ব্যাংকারকে নিজস্ব ব্যাংক হিসাব থেকে সমপরিমাণ অর্থ প্রতিষ্ঠানের সম্মিলিত গ্রাহক অ্যাকাউন্টে জমা করতে হবে। যদি ব্রোকার বা মার্চেন্ট ব্যাংক তা না করে বা করতে ব্যর্থ হয় তাহলে পরবর্তী এক বছরের জন্য ওই প্রতিষ্ঠান আইপিও/আরপিও ও রাইট শেয়ারের কোটা থেকে বঞ্চিত হবে। এর বাইরেও আইন অনুসারে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে কমিশন।
যদি কোনো গ্রাহক বা বিনিয়োগকারীর চেক, পে-অর্ডার বা ডিডি পাশ না হয় বা প্রত্যাখান হয় তাহলে পরবর্তী এক বছর ওই গ্রাহক বা বিনিয়োগকারীকে ওই ধরনের কোনো ইনস্ট্রুমেন্টের বিপরীতে শেয়ার কেনার সুযোগ দিতে পারবে না সংশ্লিষ্ট ব্রোকারহাউজ বা মার্চেন্ট ব্যাংক। একই সঙ্গে তিনি আইপিও/আরপিও ও রাইট শেয়ারে আবেদন করতে পারবে না।
চেক, পেমেন্ট অর্ডার বা ডিমান্ড ড্রাফ্ট প্রত্যাখান করার ক্ষেত্রে, স্টক ব্রোকার বা মার্চেন্ট ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের চেক প্রত্যাখান হওয়ার তারিখ থেকে পরবর্তী এক বছরের জন্য লেনদেন করতে পারবে না।
প্রত্যেক স্টক ব্রোকার এবং মার্চেন্ট ব্যাংককে তাদের তালিকা গ্রাহকের প্রত্যাখান হওয়া বা বাতিল হওয়া চেক বা পেমেন্ট অর্ডার বা ডিমান্ড ড্রাফ্টের বিস্তারিত বিবরণ প্রতি মাস শেষ হওয়ার ১০ দিনের মধ্যে কমিশনের কাছে জমা দিতে হবে।
স্টক ব্রোকার এবং মার্চেন্ট ব্যাংকাররা গ্রাহকদের আরটিজিএস, ইএফটিএন বা বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত বা স্বীকৃত ব্যাংকিং চ্যানেল বা সিস্টেমের মাধ্যমে অর্থ জমা করার জন্য উৎসাহিত করতে হবে।
কমিশনের আলোচ্য সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড, সমস্ত স্টক ব্রোকার এবং মার্চেন্ট ব্যাংকাররা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।