ভারতের বিপক্ষে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জস বাটলার ও উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান আলেক্স হেলস। তাদের দুজনের ব্যাটে ভর করে ভারতকে ১০ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে উঠে ইংলিশরা। ভারতের বিপক্ষের পারফরম্যান্স বাটলার-হেলসদের অনেক আত্মবিশ্বাসী করেছে। তবে শনিবার ফাইনাল পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে বাটলার জানিয়েছেন ভারতের বিপক্ষের পারফরম্যান্স এখন অতীত। সেটা ভুলে তারা পাকিস্তানের বিপক্ষে নতুন করে লড়াই করতে চায়। ফাইনালে পাকিস্তানের বোলিং বিভাগ তাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং হবে বলে মনে করছেন তিনি।
বাটলার বলেছেন, ‘ভারতের বিপক্ষের ম্যাচের পারফরম্যান্স আমাদের অনেক আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। তবে এটা ভেবে কিংবা এটার আত্মতুষ্টি নিয়ে বসে থাকলে চলবে না। কালকে আমরা একটি কঠিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে নতুন করে শুরু করবো। যখন আপনি শিরোপার জন্য লড়াই করবেন তখন আপনাকে বুঝতে হবে কোনো কিছুই সহজ হবে না। সুতরাং আমরা তাদের ওপর ও আমাদের ওপর ফোকাস করবো। আমাদের এখন যেটা প্রয়োজন সেটা হলো, আজ ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়ে আগামীকাল সেটা মাঠে প্রয়োগ করা। কিভাবে সেরাটা দেওয়া যায় সেটার চেষ্টা করা।’
ফাইনালকে সামনে রেখে ইংলিশ শিবির বেশ উচ্ছ্বসিত। যেমনটা বলেছেন অধিনায়ক, ‘আসলে বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলার সুযোগ পাওয়াটা বিরাট সম্মানের। আমাদের পুরো দল ফাইনাল নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত। সবাই বেশ ভালোবোধ করছে। ড্রেসিং রুমের পরিবেশটাও বেশ চনমনে।’
ইংল্যান্ড ওয়ানডে বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন। ২০১৯ সালে ঘরের মাঠে তারা নিউ জিল্যান্ডকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল। ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলা বাটলার, বেন স্টোকস, ক্রিস ওকস, আদিল রশিদ ও মার্ক উড রয়েছেন এবারের ফাইনালেও। ইংলিশ দলপতি মনে করছেন ওই বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলার অভিজ্ঞতা এই বিশ্বকাপেও কাজে লাগবে, ‘আসলে যেকোনো অভিজ্ঞতা যেটা আপনি অর্জন করবেন সেটা ভালো হোক কিংবা মন্দ- সেখান থেকে অনেক কিছু শেখার থাকে এবং সেটা পরবর্তীতে কাজে লাগানোর সুযোগ থাকে। নিঃসন্দেহে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলার অভিজ্ঞতা আমাদের বেশ কাজে দিবে।’
ইংল্যান্ডের রয়েছে ব্যাটিং পাওয়ার হাউজ। অন্যদিকে পাকিস্তানের রয়েছে বোলিং পাওয়ার হাউজ। বিশ্বকাপের পাওয়ার প্লেতে পাকিস্তানের বোলারদের রয়েছে সেরা ইকোনোমি রেট। তাছাড়া নতুন বলে তারা দারুণ আক্রমণ শানাতে পারে।
ফাইনালে পাকিস্তানের বোলারদের কিভাবে সামলাবে ইংল্যান্ড? বাটলার এখানে চ্যালেঞ্জ দেখছেন। যেমনটা তিনি বলেছেন, ‘পাকিস্তান এমনই একটি দল যাদের দারুণ দারুণ সব পেস বোলার তৈরির সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে। বর্তমানেও তাদের দারুণ কিছু পেসার রয়েছে। বর্তমানে আমরা যাদের বিপক্ষে খেলছি তারাও ক্যারিয়ার শেষে পাকিস্তানের সেরা বোলারদের কাতারে জায়গা করে নিবে। পাকিস্তান যে ফাইনালে এসেছে সেটার পেছনে কিন্তু তাদের বোলিং বিভাগের দারুণ অবদান রয়েছে। সুতরাং ধরেই নিয়েছি পাকিস্তানের বিপক্ষে ফাইনালে আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে।’
আগামীকাল রোববার বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে (এমসিজি) টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড-পাকিস্তান।
পাকিস্তান সবশেষ ২০০৯ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছিল এবং শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল। অন্যদিকে ইংল্যান্ড সবশেষ ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছিল। সেবার শেষ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে রানার্স-আপ হয়েছিল তারা।
পাকিস্তান ১৩ বছর পর আবার ফাইনালে এসেছে। অন্যদিকে ৬ বছর পর ফাইনালে এসেছে ইংল্যান্ড। দুই দলের লড়াই শেষে শিরোপা কাদের ঘরে যায় দেখার বিষয়।