দাম্পত্য জীবন পুনরুদ্ধার চেয়ে ক্রিকেটার আল-আমিনের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা করেছেন স্ত্রী ইশরাত জাহান। মামলায় ঝিনাইদহ মেট্রোপলিটন বার অ্যাসোসিয়েশনের বিবাহ রেজিস্টারকেও আসামি করা হয়েছে।
বুধবার (১৬ নভেম্বর) ঢাকার সহকারী ১ম জেলা জজ আদালত বেগম কানিজ তানিয়া রুপার আদালতে মামলা করেন ইশরাত জাহান। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আসামিদের প্রতি সমন জারি করেছেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. শামসুজ্জামান এ তথ্য জানান।
মামলায় বলা হয়, ২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক ইসরাত জাহান ও আল-আমিন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের দুটি পুত্র সন্তান রয়েছে। বড় ছেলে মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজে ইংরেজি ভার্সনে কেজিতে পড়ালেখা করছে। বেশ কিছুদিন যাবৎ আল-আমিন স্ত্রী ও সন্তানদের ভরণপোষণ প্রদান করেন না এবং খোঁজও না নিয়ে এড়িয়ে চলছেন। যোগাযোগও করেন না।
আরও বলা হয়, গত ২৫ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে আল আমিন বাসায় এসে স্ত্রীর কাছে যৌতুকের জন্য ২০ লাখ টাকা দাবি করেন। ইসরাত জাহান টাকা দিতে অস্বীকার করলে আল-আমিন তাকে এলোপাথাড়ি কিল ঘুষিসহ লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। সংসার করবে না বলে জানায়। ইসরাত জাহান, ৯৯৯-এ টেলিফোন করে সাহায্য চাইলে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন ইসরাত জাহান। এ ঘটনায় ১ সেপ্টেম্বর মিরপুর মডেল থানায় মামলাও হয়।
সর্বশেষ গত ৩ সেপ্টেম্বর আল-আমিন তার মায়ের মাধ্যমে জানান, ইসরাতের সাথে সংসার করবে না এবং সন্তানদের ভরণপোষণ দেবেন না। প্রয়োজনে বাসা থেকে বের করে দিয়ে স্ত্রীকে তালাক দেবেন। পরকীয়ায় আসক্তের কারণে এ কাজ করেছে এবং একজন মহিলার সাথে উঠানো ছবি ইসরাতের কাছে পাঠায়।
মামলায় বলা হয়, আল-আমিন স্ত্রী-সন্তানদের বাসা থেকে বের করে অন্যত্র বিয়ে করবেন বলে জানান। দুই বছর যাবৎ আসামি বাদীর খোঁজখবর নেয় না এবং বাসায় নিয়মিত থাকে না। যার কারণে ইসরাত তার দুই সন্তানসহ বসতবাড়িতে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করার অধিকারসহ মাসিক ভরণপোষণ দাবি করে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় বাদী লিখিত বক্তব্য দাখিলে জানান ২৫ আগস্ট ইশরাতকে তালাক দিয়েছেন তিনি। তবে তালাকের কোনও কাগজ বাদী পাননি।
মামলায় বলা হয়, আল আমিন তার মা-বাবার কুপরামর্শে স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন। আল-আমিন বাদীকে একতরফাভাবে তালাক দিয়েছেন যা কার্যকর নয়। তালাকে সংক্ষুব্ধ হয়ে ইসরাত আল-আমিনের সাথে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এ কারণে দাম্পত্য জীবন পুনরুদ্ধারে বাদী মামলাটি দায়ের করলেন।