রাজশাহী শহরে শনিবার সকাল থেকে মোবাইল ইন্টারনেট কাজ করছে না। এতে বিড়ম্বনায় পড়েছে সাধারণ মানুষজন ও সাংবাদিকরা। কয়েকবার চেষ্টার পর ভয়েস কল দেওয়া সম্ভব হলেও কোন অপারেটরেরই মোবাইল ইন্টারনেট সেবা কাজ করছে না। কখন সেবা ঠিক হবে তা-ও কেউ জানাতে পারছে না।
শনিবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল থেকে রাজশাহীর মাদরাসা ময়দানে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ শুরু হয়েছে। মোবাইল ইন্টারনেট না থাকায় সমাবেশের সংবাদ, ছবি ও ভিডিও অফিসে পাঠাতে চরম বিড়ম্ব0নার শিকার হচ্ছেন সাংবাদিকরা। টেলিভিশনে লাইভও দিতে পারছেন না তারা।
এদিকে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা পাওয়া না গেলেও ব্রডব্র্যান্ড ইন্টারনেট সেবা সচল আছে। তাই সংবাদ পাঠাতে সাংবাদিকদের একটু পরপরই ছুটতে হচ্ছে অফিসে।
আরটিভির স্টাফ রিপোর্টার আমির ফয়সাল জানান, সকাল ১০টায় আমাদের লাইভ করার কথা ছিল। কিন্তু ইন্টারনেট না থাকায় আমরা সেটি করতে পারিনি।
আজকের পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক জীবন রহমান বলেন, ইন্টারনেট সেবা না থাকায় সমাবেশ স্থল থেকে অফিসে নিউজ পাঠানো যাচ্ছেনা। তাই সেখান থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে এসে কাজ করতে হচ্ছে। এতে আমরা বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মোবাইলে নেটওয়ার্ক থাকলেও মাদরাসা মাঠ এবং এর আশপাশের এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ সচল করা যাচ্ছে না।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, গোটা শহরেই মোবাইল ইন্টারনেট সেবা অচল হয়ে পড়েছে। তবে কয়েকবার চেষ্টার পর ভয়েস কল দেওয়া যাচ্ছে।
মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা জানিয়েছেন, কোনো মোবাইল অপারেটরের ইন্টারনেট সেবা সচল হচ্ছে না। শহরের কোন এলাকাতেই মোবাইল ইন্টারনেট সেবা স্বাভাবিক নেই।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি গ্রামীণফোনের এরিয়া টেকনোলজি ম্যানেজার মাহাফুজুল হক। তবে তিনি বলেন, ‘সমস্যা জানি। কিন্তু এ বিষয়ে কথা বলার উপযুক্ত ব্যক্তি আমি নই।’
তন্ময় ট্রাভেলসের ম্যানেজার আবুল হোসেন পাপ্পু বলেন, ‘আমরা নেট ব্যবহার করে আমাদের কাছে আসা কোনো সেবা গ্রহীতাকে সেবা দিতে পারছি না।’
গত বুধবার রাজশাহীর মাদরাসা মাঠে বিএনপিকে সমাবেশ করার অনুমতি দেয় পুলিশ। তবে দেওয়া হয়েছে ৮টি শর্ত। এর একটি মাঠে কোন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ কিংবা রাউটার ব্যবহার করা যাবে না।