জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি বলেছেন, শহিদদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হয়নি। দেশের মানুষ গণতান্ত্রিক পরিবেশ পায়নি। দুর্নীতিমুক্ত সমাজ পায়নি, সুশাসন পায়নি, সম্পদের সুষম বণ্টন হয়নি।
বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে মিরপুরে শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে জাতীয় পার্টির পক্ষে পুস্পস্তবক অপর্ণ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় পার্টি মহাসচিব বলেন, স্বাধীনতার এত বছরেও মানুষের স্বাধীকার ও অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জিত হয়নি। সবকিছুই দলীয়করণ করা হয়েছে। বায়ান্ন বছরে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ পায়নি মানুষ। নির্বাচনের ব্যাপারে আমরা এখনো একমত হতে পারিনি। আমি সব রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলবো, একসাথে আলোচনার মাধ্যমে ঐক্যমত্যে আসা জরুরি।
তিনি বলেন, পাঁচ কোটি মানুষ বেকার। বেকারদের আমরা কাজে লাগাতে পারছি না। কর্মবিমুখ শিক্ষা ব্যবস্থায় সার্টিফিকেট নিয়ে বসে আছে যুবসমাজ, তাদের জন্য কাজ নেই। আমারা একটি কর্মমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা চাই। আমরা অনেক বড় বড় প্রকল্প করি কিন্তু হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নেই। হাসপাতালে সিট নেই, তাই বাথরুমের সামনে, বারান্দায় মানুষ শুয়ে থাকে।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ক্ষমতা হস্তান্তরের পর আওয়ামী লীগ ও বিএনপি বারবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় গিয়ে মানুষের সব অধিকার হরণ করেছে অভিযোগ করে জাতীয় পার্টি মহাসচিব বলেন, তারা গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো নষ্ট করেছে। সে কারণেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে দেশের মানুষ আর চায় না। মানুষ এখন তৃতীয় একটি শক্তিকে চায়। দেশের মানুষ মনে করে জাতীয় পার্টি দেশের মানুষকে সুশাসন দিতে পারবে।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলহাজ শফিকুল ইসলাম সেন্টু ও ভাইস চেয়ারম্যান ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম পাঠানের নেতৃত্বে স্মৃতিসৌধে উপস্থিত ছিলেন পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য নাজমা আখতার এমপি, জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির সভাপতি শেরীফা কাদের এমপি, উপদেষ্টা এম এ কুদ্দুস খান, আমানত হোসেন আমানত, হেনা খান পন্নী, জাতীয় যুব সংহতির আহ্বায়ক এইচ এম শাহারিয়ার আসিফ, ভাইস চেয়ারম্যান শেখ আলমগীর হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব শামসুল হক, জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সাধারণ সম্পাদক মো. বেলাল হোসেন, শ্রমিক পার্টির সভাপতি একেএম আশরাফুজ্জামান খান, সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন সরকার, মো. সাইফুল ইসলাম, কৃষক পাটির সাধারণ সম্পাদক এবিএম লিয়াকত হোসেন চাকলাদার, দপ্তর সম্পাদক-২ এম এ রাজ্জাক খান, যুব সংহতির সদস্য সচিব আহাদ ইউ চৌধুরী শাহীন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. গোলাম মোস্তফা, ঢাকা মহানগর উত্তর মহিলা পার্টির সভাপতি ডা. সেলিমা খান, জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আহমেদ, তরুণ পার্টির সভাপতি জাকির হোসেন মৃধা, যুব বিষয়ক সম্পাদক দ্বীন ইসলাম শেখ, মুক্তিযোদ্ধা পার্টির সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোতালেব হোসেন, আলহাজ জয়নাল আবেদীন, গোলাম কাদির, মোটর শ্রমিক পার্টির আহ্বায়ক মেহেদী হাসান শিপন, সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, হকার্স পাটির সভাপতি আনোয়ার হোসেন আনু, জাতীয় ছাত্রসমাজের সভাপতি মো. আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম খান, ওলামা পার্টির সহ-সভাপতি ডা. মো. আব্দুল কুদ্দুস, পেশাজীবী পাটির সদস্য সচিব বাহারুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুব সংহতির আহ্বায়ক শেখ সারোয়ার হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক পার্টি মহানগর উত্তরের সভাপতি নাসির উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান মিয়া ও ঢাকা মহানগর উত্তরের বিভিন্ন থানার নেতারা।
আরও উপস্থিত ছিলেন আলমাস উদ্দিন, রফিকুল ইসলাম সেলিম, এস এম হাশেম, আমিনুল ইসলাম সেলিম, ড. নাসির উদ্দিন কবুল, মো. আলমগীর হোসেন, আব্দুস সাত্তার, আবুল বাশার, শাখাওয়াত হোসেন, রিয়াজ আহমেদ, মোহাম্মদ আলী, রেজাউল করিম প্রমুখ।