খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, ‘পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের নিশ্চিত পরাজয় জানতে পেরে জাতিকে মেধাশূন্য করার উদ্দেশ্যে স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার-আলবদর-আল শামস বাহিনীর সহযোগিতায় ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর সারাদেশে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায়। নির্মমভাবে হত্যা করে জাতির মেধাবী সন্তান বুদ্ধিজীবীদের। ২৫ মার্চ কালরাত থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধের পুরোটা সময় জুড়েই বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়। মূলত আমাদের এই জাতিকে মেধাশূন্য করার জন্য এই নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিলো।’
বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশ ২১ বছর পিছিয়ে ছিলো। দেশের জনগণ সেই ২১ বছর মন খুলে কথা বলতে পারেনি। সেদিনের সেই পরাজিত শক্তির দোসররা যেন এদেশে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সেজন্য নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, বুদ্ধিজীবী দিবসের ইতিহাস ও স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে।’
খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আলমগীর কবির, সরদার মাহাবুবার রহমান ও কেএমপি’র অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) সোনালী সেন। স্বাগত বক্তৃতা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) পুলক কুমার মন্ডল। সভায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এবং আজ বুধবার সকালে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে খুলনার গল্লামারি স্বাধীনতা সৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার প্রতিনিধিরা।