`জাতীয় বীরদের বরণ করছি।’ – ফ্রান্স ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোষ্টে এভাবেই বরণ করে নেয় এমবাপ্পে, গ্রিজম্যান, জিরুদদের।
চার বছরে পাল্টে গেল কত কিছু। ২০১৮ সালে এই মঞ্চে তাদের সঙ্গে ছিল বিশ্বকাপের ট্রফি। এবার নেই। তাতে কষ্ট থাকলেও নেই আক্ষেপ। কারণ মাঠে নিজেদের সর্বোচ্চটা উজার করে দিয়েছেন ফুটবলাররা।
তাইতো বীরদের ঠিক সেভাবেই বরণ করে নিয়েছে ফ্রান্স। সঙ্গে প্যারিসের রাস্তায় ছিল ৫০ হাজার সমর্থক। সোমবার রাত ১০টায় ফ্রান্সে পা রাখেন দিদিয়ের দেশম, হুগো লরিসরা। তখন আবহাওয়া ছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রচন্ড ঠান্ডাতেও সমর্থকদের ছিল বাধভাঙা উল্লাস।
প্যারিসের ডি লা কনকর্ডে খেলোয়াড়দের সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে উষ্ণ ভালোবাসায় সিক্ত হন এমবাপ্পেরা। গ্রিজম্যান, কো ম্যান, কামাভিঙ্গে সহ প্রায় সব খেলোয়াড়দের মুখেই হাসি ছিল। সমর্থকদের ভালোবাসায় হয়তো ভুলে গিয়েছিলেন বিশ্বকাপের মুকুটের কথা। হাত নেড়ে ভালোবাসা ফিরিয়ে দেন তারাও।
কিন্তু এখানেও বিমর্ষ ছিলেন এমবাপ্পে। মুখে এক চিলতে হাসি ছিল না। গোল্ডেন বুট পেলেও এমবাপ্পের নজরে ছিল টানা দ্বিতীয় বিশ্বকাপ। ২৪ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড সেভাবেই পারফর্ম করেছিলেন। কিন্ত ফুটবল বিধাতা সঙ্গে না থাকায় শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পাওয়া হয়নি তরুণ সুপারস্টারের।
হাত নেড়ে, চুমু উড়িয়ে সমর্থকদের ভালোবাসার জবাব দিলেও তাকে এক মুহুর্তের জন্য হাসিমুখে দেখা যায়নি। শিরোপা হাতছাড়া হওয়ার কষ্টটা এখনও বয়ে বেড়াচ্ছেন এমবাপ্পে।
রোববার রাতে আর্জেন্টিনার সঙ্গে দুর্দান্ত লড়াইয়ের পর টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে হেরে যায় ফ্রান্স। নির্ধারিত সময়ের খেলা ৩-৩ গোলে ড্র থাকে। এদিন হ্যাটট্রিকসহ ৪ গোল করেছিলেন এমবাপ্পে।