আফগানিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয়ে নারীদের নিষিদ্ধ করেছে তালেবান। দেশটির উচ্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে।
দেশটির মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের আলোকে মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) দেওয়া চিঠিতে আফগানিস্তানের সব পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নারীদের প্রবেশাধিকার জরুরি ভিত্তিতে স্থগিতের নির্দেশ দেয় উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী নেদা মোহাম্মদ নাদিম স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, পরবর্তী নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত মেয়েদের শিক্ষা স্থগিতে উল্লেখিত আদেশ জরুরি ভিত্তিতে বাস্তবায়নের বিষয়টি আপনাদের জানানো হলো।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে চিঠিটি পোস্ট করা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জিয়াউল্লাহ হাশিমি এএফপি, এপিসহ বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমকে আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক মঙ্গলবার তালেবানের এ সিদ্ধান্তকে ‘উদ্বেগের’ আখ্যা দিয়েছেন।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এটা পরিষ্কারভাবে তালেবানের পক্ষ থেকে আরেকটি ওয়াদা ভঙ্গ।
জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা বলেন, তালেবান ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকে শিক্ষাসহ জনপরিসরে নারীদের জায়গা ছোট হয়ে আসছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের মধ্যেই নারীদের উচ্চশিক্ষা বন্ধে তালেবানের সিদ্ধান্তের খবর এলো। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য এর নিন্দা জানিয়েছে।
জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের উপরাষ্ট্রদূত রবার্ট উড বলেন, সব আফগান, বিশেষত নারী ও মেয়েদের মানবাধিকার ও মৌলিক অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা না দেখালে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ন্যায্য সদস্য হওয়ার প্রত্যাশা করতে পারে না তালেবান।
উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নারীদের নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে তালেবান বলেছে, ‘জাতীয় স্বার্থ’ ও ‘সম্মান’ বজায় রাখতে এমনটি করা হয়েছে।
সূত্র: আল জাজিরা