বিনোদন

সুশান্তর মৃত্যু: বিতর্কের আগুনে ঘি ঢাললেন ডিআইজি

আড়াই বছর আগে মারা গেছেন বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত। তার মৃত্যু নিয়ে জলঘোলা কম হয়নি। আত্মহত্যা নাকি খুন— এ নিয়ে এখনো চলছে বিতর্ক। দীর্ঘ সময় পর কুপার হাসপাতালে সুশান্তর ময়নাতদন্তকারী দলের সদস্য রূপকুমার শাহ দাবি করছেন, সুশান্তকে খুন করা হয়েছে। এই বক্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর কয়েক দিন ধরে চলছে নয়া জল্পনা।

ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমকে রূপকুমার জানিয়েছেন, সুশান্তের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। ঘাড়ে দুই, তিনটি দাগ ছিল। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এ ঘটনা জানিয়ে ময়নাতদন্তের ভিডিও করতে বললে তিনি নির্দেশ দেন শুধু শরীরের কয়েকটা ছবি তোলার। তবে তার এ বক্তব্যের কোনো প্রমাণ তিনি দিতে পারেননি। ২০২০ সালে মুম্বাই পুলিশের পর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি), নার্কোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি) ও সিবিআই সুশান্তের মৃত্যুর তদন্ত করেছিল।

রূপকুমারের বিস্ফোরক বক্তব্যের আগুনে ঘি ঢেলেছেন সুশান্ত সিং রাজপুত মামলার তৎকালীন দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশকর্তা গুপ্তেশ্বর পাণ্ডে। ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের সঙ্গে আলাপকালে পুলিশের এই ডিআইজি বলেন— ‘সেই সময় বিহার থেকে পুলিশের একটি টিম এই মামলার তদন্ত করতে গিয়েছিল, তাদের সঙ্গে মুম্বাই পুলিশের ব্যবহার ভালো ছিল না। বিহার থেকে পাঠানো পুলিশের টিমের সঙ্গে মুম্বাই পুলিশের ব্যবহার অনৈতিক ছিল। এমনকী একজন আইপিএস অফিসারকে তারা গৃহবন্দি করে রেখেছিল।’

মামলাটি তদন্তের সময় পাননি গুপ্তেশ্বর পাণ্ডে। তা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ মামলার তদন্ত করার জন্য আমার টিম ও আমি পর্যাপ্ত সময় পাইনি। যদি আমি ১৫ দিন সময় পেতাম, তাহলে এই মামলার মীমাংসা হয়ে যেত।’ এ মামলার তদন্তের জন্য বিশেষ একটি টিম গঠন করা হলে সত্যিটা বেরিয়ে আসবে বলে মনে করছেন গুপ্তেশ্বর পাণ্ডে।

রূপকুমারের বক্তব্য সবাইকে নতুন করে ভাবিয়ে তুলেছে। সুশান্তের বোন শ্বেতা সিং কীর্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে সিবিআইকে ভেবে দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন। পাশাপাশি রূপকুমারের প্রাণ সংশয়ে রয়েছে বলেও ধারণা করছেন তিনি। তাই তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি তুলেছেন তিনি।