আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, ‘আমরা ইজতেমার উভয় পক্ষের সঙ্গে বসেছি ও কথা বলেছি। তাদের মধ্যে যে মতবিরোধ আছে সেটা নিরসনের জন্য আমরা আহবান জানিয়েছি। তারা সবাই মিলে আমাদের কথা দিয়েছে এই অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে পালনে যথাযথভাবে এক পক্ষ অপর পক্ষকে সহযোগীতা করবেন। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি উভয় পক্ষ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আমাদের সহযোগীতা করবেন।’
বুধবার (১১ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে দুই পর্বের বিশ্বইজতেমার সর্বশেষ প্রস্তুতি পরিদর্শনে এসে কামারপাড়া ব্রিজ সংলগ্ন বিদেশি খিত্তার পাশে সাংবাদকিদের তিনি এসব কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, ‘সাধারণ মানুষের ইজতেমা মাঠে প্রবেশের সুবিদার্থে আমরা ম্যাপ তৈরি করে দিয়েছি। বিভিন্ন পয়েন্টেও আমরা তাদের জন্য বিভিন্ন প্রকারের নির্দেশনা টাঙিয়ে দিয়েছি। এছাড়াও বিভিন্ন পরিকল্পনা করে কোন বিভাগের গাড়ি কোথায় পার্কিং করা থাকবে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা, কোন রাস্তা কখন খোলা বা কখন বন্ধ খাকবে সে নির্দেশনা দিয়েছি।‘
তিনি আরও বলেন, ‘পকেটমারসহ নানা অপরাধ কার্যকলাপ রুখতে আমাদের পেট্টোল টিম কাজ করবে। আমরা ওয়াচ টাওয়ার ও সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষন করবো। সাদা পোশাক ও পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত থাকবে।‘
গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশ বিভাগ ১৪টি কন্ট্রোলরুম তৈরী করেছে। এছাড়াও র্যাব কন্ট্রোলরুম থাকবে। ডিএমপি তার এলাকায় কন্ট্রোলরুম খুলবে, এসবি, এটিও, সিআইডি, নৌপুলিশ, অবজারভারভেশন টিম থাকবে, র্যাবের হেলিকপ্টার ইজতেমা ময়দানের চারপাশ টহল দেবে। ডগ স্কোয়াড টিম, মোবাইল পেট্টোল টিম, বোম ডিস্পোজাল টিম থাকবে। মোনাজাতের দিন সুষ্ঠভাবে আখেরি মোনাজাত ও জুম্মার নামাজ যাতে মুসুল্লিরা সুষ্ঠুভাবে অংশ নিতে পারেন সেজন্য সব বাহিনী দায়িত্ব পালন করবেন।’ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমরা সাধারণ মানুষকে নিশ্চিত করতে চাই আপনারা নির্ভয়ে ও নিরাপদে ইজতেমায় অংশ নিতে পারবেন।’
ইজতেমা স্থলে ৯১টি খিত্তায় বিভক্ত। খিত্তাভিক্তিক আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ, র্যাবের পাশাপাশি ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশ, স্পেশাল ব্রাঞ্জ, সিআইডি, নৌপুলিশ, এন্টিট্যারিজম ইউনিট, রেলওয়ে পুলিশ আইনশৃঙ্খলাবাহীনি দায়িত্ব পালন করছে। এর সঙ্গে সরকারের অন্যান্য বিভাগও সমন্বিতভাবে কাজ করছে। আমরা একসঙ্গে সবাই মিলে কাজ করছি, যাতে মুসুল্লিরা শান্তিপূর্ণভাবে এই আয়োজনে শরীক হতে পারেন। আমরা সুষ্ঠ সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করছি। আগামীকাল থেকে পুরোপুরি আইনশৃঙ্খলাবাহীনির কাজ শুরু হবে বলেও জানান পুলিশের এই শীর্ষ কর্মকর্তা।
ইজতেমা মাঠ পরিদর্শনে আইজিপি’র সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক স্পেশাল ব্রাঞ্চের প্রধান মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত আইজিপি ট্যুরিস্ট পুলিশের প্রধান হাবিবুর রহমান, গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার দেলোয়ার হোসেন ও গাজীপুর পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলম প্রমুখ।