বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ দুই আসনের উপ-নির্বাচনে আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম প্রতীক বরাদ্দ পেয়ছেন। বুধবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম প্রতীক হিসেবে হিরো আলমের হাতে ‘একতারা’ তুলে দেন।
জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘হাইকোর্ট থেকে আমরা আদেশ পেয়েছি। আমাদেরকে তাকে (হিরো আলম) প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেই নির্দেশনার আলোকে আজকে বগুড়া-৪ এবং বগুড়া-৬ এই দুই আসনে নির্বাচনের জন্য তাকে ‘একতারা’ প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।’
প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে হিরো আলম বলেন, ‘আমি সিংহ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু প্রতীকটি অন্য রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনে থাকায় সেটি পাইনি। এতে আমার আফসোস নেই। বিকল্প প্রতীক হিসেবে আমি ‘একতারা’ চয়েস করেছিলাম। সেটিই পেয়েছি।’
প্রতীক হিসেবে ‘একতারা’ পছন্দ করার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি অভিনয় জগতের মানুষ। অভিনয় ও গান নিয়ে আমার কাজ। এজন্য একতারা প্রতীক পছন্দ করেছি। প্রতীকটি পেয়ে আমি খুব খুশি।’
হিরো আলম বলেন, ‘গতবারের মতো এবারও আমার অনেক যুদ্ধ করে প্রার্থীতা পেতে হয়েছে। কেন আমাকে এ রকমভাবে বারবার হয়রানি করা হয় জানি না। নির্বাচন সুষ্ঠুু হওয়ার ব্যাপারে আমি পুরোপুরি আশাবাদী। পাশাপাশি সাধারণ মানুষ তাদের সেবা করার জন্য আমাকেই সুযোগ দেবেন বলে আমি নিশ্চিত। আমি আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) থেকেই নির্বাচনি প্রচারণা শুরু করবো। আমি সোশ্যাল মিডিয়া এবং ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইবো।’
২০১৮ সালের নির্বাচনে হিরো আলমের ওপর হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, গতবার আমার লোকজন কম ছিল। এবার আমার জনপ্রিয়তা ও কর্মী সমর্থক অনেক। তাই কেউ হামলার চেষ্টা করলে পাল্টা হামলা করা হবে।