পথচারীদের সতর্ক করার জন্য ছোট করে লেখা, ‘ডেঞ্জার, হাই ভোল্টেজ। ১১,০০০ ভোল্ট। বিপদজনক।’ সতর্ক বার্তাটি ছোট করে লেখা থাকলেও বিপদ কিন্তু বড়। গত কয়েকদিন ধরেই ব্যস্ততম সড়কের প্রায় মাঝখানে রাখা হয়েছে ভ্রাম্যমাণ বৈদ্যুতিক এই ট্রান্সফরমারটি। এতে এক প্রকার ঝুঁকি নিয়েই যাতায়াত করছেন সাধারণ মানুষসহ বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা।
বৈদ্যুতিক এই ট্রান্সফরমারটি নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর শহরের ব্যস্ততম সড়কের ওপর রাখা হয়েছে ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শহরের ব্যস্ততম কিছুক্ষণ মোড়ে থাকা ট্রান্সফরমারটি কিছুদিন আগে হঠাৎ বিকল হয়ে যায়। পরে বিদ্যুৎ বিভাগ ভ্রাম্যমাণ ট্রান্সফরমার বসিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল করে। ট্রান্সফরমারটি এভাবে রাখায় পথচারী ও যানবাহন চলাচলও ঝুঁকির মুখে পড়েছে। প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে শত শত মানুষ ও যানবাহন চলাচল করে। এছাড়া ট্রান্সফরমারের কিছু দূরেই অবস্থিত তুলসিরাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মহিলা মহাবিদ্যালয়। এ দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরও প্রতিদিন এ ট্রান্সফরমারের পাশ দিয়েই যাতায়াত করে। ফলে যে কোনো মুহূর্তে বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কের ওপর বড় লোহার খাঁচা। খাঁচার ভেতরে ট্রান্সফরমার। এর পাশ দিয়ে যানবাহন চলছে। ট্রান্সফরমারের প্রায় গা ঘেঁষে চলাচল করছেন পথচারীরাও। কয়েকজন শিশুকে ট্রান্সফরমারের পাশ দিয়ে বিদ্যালয় থেকে ফিরতে দেখা যায়। এসব শিশুরা জানায়, ট্রান্সফরমারের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তাদের ভয় লাগে।
স্থানীয় বাসিন্দা মজিবর রহমান বলেন, ‘বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ এলাকার ছোট শিশুরা এ সড়ক দিয়ে যাতায়াতের সময় খেলার ছলে ট্রান্সফরমারের ভেতর হাত ঢুকিয়ে দেয়। এতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তাই দ্রুত ট্রান্সফরমারটি সরিয়ে ফেলা উচিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘রাস্তায় ট্রান্সফরমারটি বসানোর সময় বিদ্যুৎ বিভাগ দু’দিনের মধ্যেই বিকল হওয়া ট্রান্সফরমারটি মেরামত করা হবে বলে জানিয়েছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত তা করা হয়নি। বিকল হয়ে যাওয়া ট্রান্সফরমারটি মেরামত করে কবে নাগাদ পুনঃস্থাপন হবে, তা নিয়ে এলাকাবাসী অন্ধকারে।’
শেরে বাংলা সড়ক দিয়ে চলাচলকারী পথচারী সাইদুর রহমান সাগর বলেন, ‘ট্রান্সফরমারটি এখানে বেশি দিন থাকলে যেকোনো সময় সড়কে চলাচলকারী যানবাহনের সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। যেহেতু এটি একটি মেশিন তাই বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা সবার মধ্যেই রয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে সৈয়দপুর বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘নতুন ট্রান্সফরমার বরাদ্দ পেলেই বৈদ্যুতিক খুঁটির ওপর সেটি বসানো হবে। তখন বিকল হয়ে যাওয়া পুরোনো ট্রান্সফরমারটির পাশাপাশি সড়কের ওপরে থাকা ভ্রাম্যমাণ ট্রান্সফরমারটিও সরিয়ে নেওয়া হবে।’