শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেছেন, ‘ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্য বিদেশে রপ্তানি করে বৃহত্তর বাজার সৃষ্টি করা হবে। একই সঙ্গে সভ্যতার বির্বতনে যে সব ঐতিহ্যবাহী পণ্য হারিয়ে গেছে সেগুলো ফিরিয়ে আনতে হবে। এ ক্ষেত্রে নারীদের অধিক অংশ গ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।’
রোববার (৫ জানুয়ারি) সকালে পটুয়াখালী ডিসি স্কোয়ার মাঠে বিসিক উদ্যোক্তা মেলা ও ক্রেতা বিক্রেতা সম্মিলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘ভোলায় যে গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে সেটির সম্ভাবতা যাচাই করা হবে। গ্যাসতো অফুরন্ত নয়। সব সেক্টরে যাতে লাইফলং লাভবান হতে পারে এবং দক্ষিণ অঞ্চলে কিভাবে বড় বড় শিল্প কলকারখানা ও ক্ষুদ্র শিল্প কলকারখানা গড়ে তোলা যায় সেটি পরীক্ষা করা হচ্ছে। এরপর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন যে সরকার রয়েছে সেটা সরকারের দল না দলের সরকার। প্রধানমন্ত্রী দল ও সরকার দুটিই পরিচালনা করছেন। আজ প্রান্তিক পর্যায়ে গ্রামকে শহরে ইতোমধ্যে নির্মাণ করা হয়েছে। দেশে অভ্যন্তরীন ট্যুরিজমও তৈরি হয়েছে। মানুষ এখন আর দেশের বাইরে যেতে চায় না। এখন মানুষ সময় পেলে দেশের বিভিন্ন ট্যুরিজম স্পটগুলো ভ্রমণে বের হন। এর প্রধান কারণ বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। একারণে মানুষ সুযোগ পেলে ভ্রমণে বের হয়ে যান।’
এর আগে মন্ত্রী বেলুন ও ফেষ্টুন উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করেন। পরে তিনি বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি এ মেলা শেষ হবার কথা রয়েছে।
মন্ত্রী পরে পদ্মা সেতু কেন্দ্রিক টেকসই শিল্পায়নের উন্নয়ন কর্মপরিকল্পনা প্রনয়ন বিষয়ক এক সেমিনারে অংশ গ্রহন করেন।
বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার আমিন উল আহসানের সভপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- পটুয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজ, পটুয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য এস এম শাহাজাদা, সংরক্ষিত মহিলা আসন-৩১৯ সংসদ সদস্য কাজী কানিজ সুলতানা হেলেন, পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মো. শরীফুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন ও পটুয়াখালী পৌরসভার মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।