চূড়ান্ত হিসাবে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ও মাথাপিছু আয় গত ২০২১-২২ অর্থবছরে কিছুটা কমেছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ৩১ ডলার কমেছে। অন্যদিকে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে ৭ দশমিক ১০ শতাংশ নির্ধারিত হয়েছে।
রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিবিএস এর প্রতিবেদনে প্রাক্কলিত হিসাবে মাথাপিছু আয় ঘোষণা করা হয় ২ হাজার ৮২৪ ডলার। এখন সেটি কমে দুই হাজার ৭৯৩ ডলার চূড়ান্ত করা হয়েছে। জিডিপি প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলিত ছিল ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ। দুই বছরের করোনা মহামারির ধাক্কা কাটিয়ে না উঠতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ও জনগণের মাথাপিছু আয় কমেছে।
গত বছরের ১০ মে মাসে জিডিপি ও মাথাপিছু আয়ের সাময়িক হিসাব প্রকাশ করা হয়েছিল। ২০২১-২০২২ অর্থবছর শেষ হয়েছে ২০২২ সালের ৩০ জুন। সাত মাসের বেশি সময় পার হওয়ার পর গতকাল জিডিপি প্রবৃদ্ধি, মাথাপিছু আয়সহ ওই অর্থবছরের অর্থনীতির অন্যান্য সূচকের চূড়ান্ত হিসাব প্রকাশ করল বিবিএস।
এতে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় কমে দুই হাজার ৭৯৩ ডলারে নেমে এসেছে। সাময়িক হিসাবে এই আয় ছিল দুই হাজার ৮২৪ ডলার। গত ২০২১-২০২২ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি কমে সাত দশমিক ১০ শতাংশ হয়েছে, যা ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ছিল ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ। ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ছিল সাত দশমিক ৮৮ শতাংশ।
জিডিপি প্রবৃদ্ধি ও মাথাপিছু আয় কমে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে বিবিএসের মহাপরিচালক মতিয়ার রহমান বলেন, দুই বছরের করোনার ধাক্কা কাটিয়ে না উঠতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়। গত অর্থবছরের শেষের চার মাসের বেশি সময় (২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩০ জুন) গেছে উত্তাল যুদ্ধের মধ্যে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও সেই যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে। বিনিয়োগ কমেছে। সব মিলিয়েই জিডিপি প্রবৃদ্ধি খানিকটা কমেছে। এর ফলে মাথাপিছু আয়ও ৩১ ডলার কমে গেছে।
তিনি বলেন, তবে বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে এই প্রবৃদ্ধি সন্তোষজনক। বর্তমান জিডিপি প্রবৃদ্ধি এটাই প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশের অর্থনীতি মজবুত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের চেয়ে ভালো অবস্থায় আছে।