একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুণ্ডাদেশপ্রাপ্ত পলাতক আসামি সুলতান মাহমুদ ফকিরকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে র্যাব-১৪ ময়মনসিংহের সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানান অতিরিক্ত ডিআইজি র্যাব- ১৪ অধিনায়ক মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান।
গ্রেপ্তার হওয়া সুলতান মাহমুদ ফকিরের বাড়ি ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার কানিহারি ইউনিয়নের বিয়ার্তা গ্রামে।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধ: ময়মনসিংহের ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড
মহিবুল ইসলাম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ময়মনসিংহ নগরীর ভাটিকাশর থেকে সুলতান মাহমুদ ফকিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত ২৩ জানুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ত্রিশালের ছয়জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সুলতান মাহমুদ ফকির ওই রায়ে সাজাপ্রাপ্তদের একজন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ১৯৭১ সালের জুন-জুলাই মাসে ত্রিশালের আহমেদাবাদে একটি বিদ্যালয়ে ক্যাম্প স্থাপন করে শান্তি ও রাজাকার বাহিনী। ওই সময় কাকচর গ্রামের ইউনুছ আলী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নদী পারাপার করতেন। এ কারণে ইউনুছ আলীকে ধরে ক্যাম্পে নিয়ে যান ২০ থেকে ২৫ জন। নির্যাতনের পর ১৯৭১ সালের ১৫ আগস্ট সকালে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এছাড়া ওই রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে এলাকায় লুটপাট ও ধর্ষণের মতো অপরাধ করে।
২০১৫ সালের ২৮ ডিসেম্বর ময়মনসিংহের বিচারিক আদালতে মামলাটি করেন মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ইউনুছ আলীর ছেলে রুহুল আমিন। পরে ওই দিন দুপুরে বিচারক আবেদা সুলতানা মামলাটি আমলে নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর আদেশ দেন।
দীর্ঘ তদন্ত ও স্বাক্ষীদের স্বাক্ষ গ্রহণ শেষে আদালত চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি ওই মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ছয় জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।