হবিগঞ্জের শিক্ষকের কাছ থেকে উপহার পাওয়া গাড়িটি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। গাড়িটির ফিটনেস সনদের মেয়াদ শেষ হয়েছে প্রায় ১০ বছর আগে। একই সময়ে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে ট্যাক্স টোকেনেরও।
সব মিলিয়ে গাড়িটি রাস্তায় নামাতে হলে হিরো আলমের পরিশোধ করতে হবে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা। এছাড়া গাড়িটিতে অনেক ত্রুটিবিচ্যুতি থাকায় মেরামতেও খরচ করতে হবে অনেক টাকা।
এর আগে, মঙ্গলবার দুপুরে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার নরপতি গ্রামের শিক্ষক মুখলিছুর রহমান উপহার হিসেবে টয়োটা নোয়াহ ১৯৯৮ মডেলের গাড়িটি হিরো আলমের হাতে তুলে দেন।
এরপরেই হিরো আলম গাড়িটি বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনের গরিব মানুষদের জন্য অ্যাম্বুলেন্স বানানোর ঘোষণা দেন।
জানা গেছে, হিরো আলমকে উপহার দেয়া গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন নম্বর- ঢাকা মেট্রো-চ ৫১-৪১০১। গাড়িটির সর্বশেষ ট্যাক্স প্রদান করা হয়েছে ২০১৩ সালের ১৮ মার্চ এবং একই বছরের ১৫ জুলাই গাড়ির ফিটনেসের মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে।
হিরো আলম বলেন, ‘গাড়িটির কাগজপত্র ঠিক নেই। ১০ বছর ধরে ট্যাক্স দেওয়া হয়নি। এছাড়া গতকাল হবিগঞ্জ থেকে বগুড়া আসার সময় দেখলাম গাড়িটি তেমন ভালো না।’
গাড়ির কাগজপত্র যখন দেয় তখন দেখে নেননি? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘তখন ভিড়ের মধ্যে দিয়েছে, ততোটা খেয়াল করিনি। ওই সময় খুব লোকজনের ভিড় ছিল। কাগজপত্রগুলো দিয়েছে, নিয়েছি। কাগজপত্রে কি লেখা দেখিনি। উপহারের গাড়ি তো, ভালোবেসে দিয়েছে। যে কারণে যাচাই-বাছাই করে দেখার প্রয়োজন মনে করিনি।’
গাড়িটি রাস্তায় নামাতে হলে সরকারি ফি দিতে হবে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা। সেই সঙ্গে আছে মেরামত খরচ। এমন পরিস্থিতিতে কি করবেন? তিনি বলেন, ‘যেহেতু অ্যাম্বুলেন্স করতে চেয়েছি, দেখি সরকারি ছাড় দেয় কিনা।’