আজ পহেলা ফাল্গুন। ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন। হরেক রকমের বাহারি ফুল ও পত্রপল্লবে প্রকৃতি আজ বর্ণিল। বসন্তের মাতাল সমীরণে প্রকৃতিতে নিজেদের অস্তিত্ব প্রকাশ করছে লাল রাঙা পলাশ। বসন্তের হিমেল পরশ ও এর সঙ্গে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপভোগ করতে তাই সমুদ্র কন্যা খ্যাত কুয়াকাটায় ভিড় জমিয়েছেন হাজারো পর্যটক। তাদের অধিকাংশই দম্পতি। এসব পর্যটকদের আনন্দ-উম্মাদনায় পুরো সৈকত জুড়ে বিরাজ করছে এক উৎসব মুখর পরিবেশ।
সমুদ্রের ঢেউয়ে সাতার কাটাসহ সৈকতে দাড়িয়ে প্রিয়জন ও ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে সেফলি তুলে দিনটি উপভোগ করছেন পর্যটকরা। অনেকে আবার ঘুরছেন ঘোড়ায় কিংবা ওয়াটার বাইকে। সমুদ্র সৈকতের পাশাপাশি কুয়াকাটার অন্য পর্যটন স্পটগুলোতে রয়েছে পর্যটকদের উচ্ছাসিত উপস্থিতি।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিতে তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ, থানা পুলিশ ও নৌ-পুলিশ কর্তৃপক্ষ।
দিনাজপুর থেকে কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা সোহায়েল-শাকিলা দম্পত্তি বলেন, আমাদের বিয়ে হয়েছে মাত্র ৩ মাস আগে। তাই আমরা ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে হানিমুনে এসেছি। এখানকার প্রকৃতি আমাদের মুগ্ধ করেছে।
মেহেরেপুর থেকে আসা পর্যটক সোলায়মান-সনিয়া দম্পত্তি জানান, আমরা গতকাল সোমবার কুয়াকাটায় এসেছি। ভালোবাসা দিবস উদযাপন করতে ও বসন্তকে বরণ করতে আমাদের এখানে আসা। আমরা লাল কাঁকড়ার চর, চর গঙ্গামতি এবং ঝাউবন ঘুরেছি। বেশ আনন্দ করেছি।
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোশিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজ মঙ্গলবার। সপ্তাহের এদিনে আসলে তেমন পর্যটক থাকে না। তবে বিগত দিনের তুলনায় আজ একটু পর্যটক বেশি। আমাদের কিছু হোটেল বুকিং রয়েছে। বসন্ত ও ভালোবাসা দিবস উপলক্ষেই পর্যটকরা কুয়াকাটায় ছুটে এসেছেন।
কুয়াকাটা ট্যুরিষ্ট পুলিশ জোনের পুলিশ পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ জানান, বসন্ত বরণ উপলক্ষে কুয়াকাটায় আজও ব্যাপক পর্যটকের সমাগম রয়েছে। আমরা পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে বিভিন্ন পর্যটক স্পটে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েতন করেছি। এছাড়া মাঠে আমাদের টহল টিম রয়েছে।