অর্থনীতি

বাংলাদেশে পোশাক কারখানা স্থাপনে আগ্রহী চীন

বাংলাদেশে ম্যান-মেইড ফাইবার ও পোশাক কারখানা স্থাপনে আগ্রহী চীনের পোশাক প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান হান্দা ইন্ডাষ্টিজ লিমিটেড।কারখানা স্থাপনের সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনা করতে হান্দা ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেডের সহ-সভাপতি দেং পেইলেই বিজিএমইএ’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম এর সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর উত্তরা বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ঢাকায় জাপানি বায়িংহাউজ, এমএন ইন্টার-ফ্যাশন লিমিটেডের সাধারণ ব্যবস্থাপক তাকাশি নাকাহাশি উপস্থিত ছিলেন।

হান্দা ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেডের সহ-সভাপতি দেং পেইলেই বাংলাদেশে ম্যান-মেইড ফাইবারভিত্তিক পোশাক কারখানা ও ম্যান-মেইড ফাইবার কারখানা স্থাপনের স্থাপনের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে এ বিষয়ে বিজিএমইএ থেকে সহযোগিতা কামনা করেন। বৈঠকে বাংলাদেশে ম্যান-মেইড ফাইবারভিত্তিক পোশাক কারখানা ও ম্যান-মেইড ফাইবার কারখানা স্থাপনের সম্ভাবনা ও প্রতিবন্ধকতা নিয়ে আলোচনা করেন তারা।

বিজিএমইএ’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম বলেন, গত এক দশকে পোশাক শিল্পে যে বাস্তব রূপান্তর ঘটেছে, তা বিশ্ব বাজারে শিল্পের অবস্থানকে আরও দৃঢ় করেছে এবং ক্রেতা ও ভোক্তাদের আস্থা বাড়িয়েছে। সাফল্যের উপর ভিত্তি করে শিল্পটি ক্রমাগত আরও উৎকর্ষ সাধনের জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

তিনি বলেন, টেকসই হওয়ার কারনে বিশ্ববাজারে ক্রেতারা এখন নন-কটন পোশাক পণ্যের দিকে ঝুঁকছেন। টেক্সটাইল খাতের মধ্যে বিনিয়োগের জন্য অত্যন্ত সম্ভাবনাময় একটি খাত হচ্ছে ম্যান-মেইড ফাইবার-ভিত্তিক ইয়ার্ন ও ফ্যাব্রিক্স। যেমন পলিয়েস্টার, ভিনকস, স্প্যানডেক্স, মেলাঞ্জ। বাংলাদেশে ম্যান-মেইড ফাইবারভিত্তিক পোশাক কারখানা ও ম্যান-মেইড ফারবার কারখানা স্থাপনের জন্য একটি রেডি মার্কেট রয়েছে।

শহিদউল্লাহ আজিম পোশাক শিল্পের টেকসই কৌশলগত রূপকল্প-২০৩০ সম্পর্কে অবহিত করে বলেন, এই রূপকল্পের আওতায় পোশাক শিল্প ২০৩০ সাল নাগাদ ১০০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করেছে। এই লক্ষ্য অর্জনে বিজিএমইএ সব সুযোগ কাজে লাগাতে আগ্রহী। নন-কটন খাতে বিদেশি বিনিয়োগ ও যৌথ বিনিয়োগে বিজিএমইএ থেকে প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, হান্দা ইন্ডাষ্টিজ লিমিটেডের চীন, মিয়ানমার ও মিশরে নিজস্ব নিটওয়্যার পোশাক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানটি এককভাবে ইউরোপ ও অন্যান্য দেশে বাৎসরিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পোশাক রপ্তানি করে। অন্যদিকে এমএন ইন্টার-ফ্যাশন লিমিটেড একটি জাপানি  বায়িংহাউজ। এই বায়িংহাউজ বাংলাদেশে ৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে ব্যবসা পরিচালনা করছে।