বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে বলিউডের সিনেমা পাঠান মুক্তির ব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। কিন্তু ময়মনসিংহের ছায়াবাণী সিনেমা হলে ‘আগামী ৩ মার্চ পাঠান মুক্তি পাচ্ছে’ এমন পোস্টার ছাপিয়ে প্রচার করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। যদিও এক দিন পরে এ সকল পোস্টার সরিয়ে ফেলেছে হল কর্তৃপক্ষ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নগরীর সি কে ঘোষ রোড ছায়াবাণী সিনেমা হলের মুল গেটের সামনে গত শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দিনব্যাপী ভারতীয় পাঠান সিনেমার বাংলা পোস্টার স্ট্যান্ড দিয়ে লাগিয়ে রাখা হয়। পোস্টারে উল্লেখ করা হয়, আগামী ৩ মার্চ ছায়াবাণী সিনেমা হলে মুক্তি পেতে যাচ্ছে পাঠান। এরপর থেকে হলের দর্শক ও স্থানীয়রা এই পোস্টারের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করতে থাকে। মুহূর্তে এটি ছড়িয়ে পড়ে। এতে তৈরি হয় আলোচনা-সমালোচনা। এই ঘটনার পর দিন থেকে পোস্টার সরিয়ে ফেলে সিনেমা হল কর্তৃপক্ষ।
পোস্টার ছাপানোর বিষয়ে ছায়াবাণী সিনেমা হলের মালিক কামাল হোসেন বলেন, ‘যেকোনো সিনেমা তৈরির পর থেকে আমরা প্রচার শুরু করি। সেন্সর বোর্ড অনুমোদনের পর তা হলে প্রচার করি। পাঠান বিশ্বের অনেক দেশে মুক্তি পেয়েছে। আগামী ৩ মার্চ তারিখ সেন্সর বোর্ডের অনুমতির একটা সম্ভাব্য তারিখ আছে। তাই সিনেমার প্রচারের জন্য পোস্টার তৈরি করে রেখেছিলাম। না হলে তাড়াহুড়ো করে এসব করা যাবে না। তাছাড়া বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর পেয়ে দর্শকরা পাঠান ছবির মুক্তির ব্যাপারে জানতে চাই। তাই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে এ নিয়ে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে চাপ আসায় আপাতত সরিয়ে ফেলা হয়েছে। আগামী ৩ মার্চ না হলে ১০ মার্চের পাঠান অনুমতি পাওয়ার ব্যাপারে সম্ভাবনা আছে। যদি হয় তখন আবারও প্রচার করা হবে।’
হল মালিক কামাল হোসেন আরও বলেন, ‘বিদেশি সিনেমা বিশ্বের অনেক দেশ চালাচ্ছে। আমাদের দেশের হলগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। হল বন্ধ হয়ে গেলে দেশে সুষ্ঠু সাংস্কৃতিক চর্চা বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে মৌলবাদের উন্থান হবে। তাছাড়া এই হল ব্যবসার সঙ্গে অনেকের কর্মসংস্থান জড়িয়ে আছে। তাই আমরা হল মালিকরা দাবি জানায়, সরকার এ সব বিবেচনা করে আমাদের বিদেশি ছবি চালানোর অনুমতি দেবে।’
অনুমতির আগেই পাঠান ছবির পোস্টার লাগিয়ে প্রচারের বিষয়টি নজরে আসেনি স্থানীয় প্রশাসনের।
এই বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজার রহমান বলেন, ‘ছায়াবাণী হলে পাঠান পোস্টার লাগানোর বিষয়টি আমাদের নজরে আসেনি। তবে বিদেশি ছবি বাংলাদেশে প্রচারের অনুমতির আগে প্রচারের বিষয়টি আইনসিদ্ধ নয়। সব বিষয়ে অবশ্যই সবাইকে আইন মেনে চলতে হবে।’