খেলাধুলা

টি-টোয়েন্টির এই দলটাই বাংলাদেশের ‘বেস্ট বাঞ্চ অব প্লেয়ার্স’

বল হাতে শুরুতে অগোছালো তারপর ঘুরে দাঁড়ানো। হাত ফসকালেও দ্রুত মানিয়ে নিয়ে ফিল্ডিংয়ে দেখিয়েছে খিপ্রতা।  ব্যাট হাতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণ। তাতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড ধরাশয়ী। টি-টোয়েন্টিতে চনমনে থেকে আগ্রাসী কিংবা ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলাটাই প্রত্যাশা ছিল দীর্ঘদিন ধরে, সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে তারুণ্যে গড়া দলটি সেই ইঙ্গিতই দিয়েছে সাগরিকার পাড়ে।

২২ গজে একে অপরের সঙ্গে দারুণ বোঝাপড়া, নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দেওয়ার মানসিকতা সবকিছু মিলিয়ে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সবার পারফরম্যান্স ছিল দারুণ প্যাকেজ। সিরিজ শুরুর আগে দলটি নিয়ে আশার কথা শুনিয়েছিলেন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে, ২২ গজে পরদিনই প্রমাণ দিয়েছেন শিষ্যরা। ম্যাচ শেষে সাকিবের কণ্ঠেও ছিল একই সুর আর আজ দ্বিতীয় ম্যাচের আগে যেন তাল মেলালেন তরুণ পেসার হাসান মাহমুদ।

‘এই মুহূর্তে আমাদের যে টি-টোয়েন্টি দলটা আছে, আমি মনে করি বেস্ট বাঞ্চ অব প্লেয়ার্স। সবাই খুবই এনার্জেটিক এবং মাঠে শেষ পর্যন্ত খুবই এফোর্ট দেয়। এটা যদি আমরা ধরে রাখতে পারি, এই ব্যাচটাকে এগিয়ে নিতে পারি, আমার মনে হয় ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি; যে কোনো ফরম্যাটে আমরা এগিয়ে থাকব’-শনিবার সংবাদ সম্মেলনে এভাবে বলেছেন হাসান।

এবারের টি-টোয়েন্টি দল ছিল চমকে ভরা। প্রথমবারের মতো ডাক পেয়েছেন তৌহিদ হৃদয়, রেজাউর রহমান রাজা ও তানভীর ইসলাম। ৮ বছর পর জাতীয় দলের দরজা খুলেছে রনি তালুকদারের। দেড় বছর পর ফেরেন শামীম পাটোয়ারী। এই দলে অধিনায়ক সাকিব আর রনি ছাড়া সবার বয়সই ত্রিশের নিচে। ঘষে মেজে টি-টোয়েন্টির জন্য প্রস্তুত করাটাই চ্যালেঞ্জ। সেটি শুরুর কথা অবশ্য বলে দিয়েছেন হাথুরুসিংহে।

সিরিজের আগে এই দলটিকে এশিয়ার সেরা ফিল্ডিংয়ের দল বানানোর কথা বলেছেন বাংলাদেশ। তার প্রভাব দেখা যাচ্ছে অনুশীলনেও। সব জায়গায় সব ফিল্ডার যাতে মানিয়ে নিতে পারে সেভাবেই নিজেদের প্রস্তুত করছেন ক্রিকেটাররা।

হাসানের ভাষ্য, ‘আমাদের দলের সবাই চাচ্ছি যেন ফিল্ডিংটা আরেকটু উন্নতি করা যায়। মাঠে একটু সুশৃংখল থাকতে চায় সবাই। এমনিতে দেখা যায়, ফাস্ট বোলাররা পেছনে দাঁড়ায়। কাভারে দাঁড়ায় না, পয়েন্টে দাঁড়ায় না। তবে এখন যে সময়টা আসছে, সবাই যে কোনো জায়গায় ফিল্ডিং করার জন্য প্রস্তুত। তো এটা খুব ভালো বিষয়।’

আগামীকাল মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামবে বাংলাদেশ। ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় বাংলাদেশের সামনে সিরিজ জেতার হাতছানি। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে এবারই প্রথম ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কোনো সিরিজ খেলছে লাল সবুজের দল। আর প্রথমবারেই বাংলাদেশ যদি সিরিজ পকেটে পুরতে পারতে সেটি হবে অভাবনীয় কিছু।

হাসানের পুরো বিশ্বাস রয়েছে সিরিজ জয় নিয়ে, ‘আমরা ইনশাআল্লাহ্ সিরিজ জিতব। মোমেন্টাম যেহেতু আমাদের দিকে আছে, ইনশাআল্লাহ্  ভালো কিছু হবে। অধিনায়ক আমাদের সাহস দিচ্ছেন। আমরা তরুণ আছি সবাই। সব কিছু মিলে ঠিকঠাক চলছে।